কুড়িগ্রামের উলিপুরে ইউপি নির্বাচনের সময় বিপক্ষে কাজ করায় এক মাদ্রাসা শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গতকাল রোববার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই শিক্ষক।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষকের নাম ফিরোজ আলম। তিনি উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের সাতদরগাহ নেছারীয়া কামিল এমএ মাদ্রাসার সিনিয়র সহকারী শিক্ষক। অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের নাম আতাউর রহমান আতা। তিনি ওই এলাকার নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি মোটরসাইকেলে নিয়ে মাদ্রাসা যাচ্ছিলেন শিক্ষক ফিরোজ আলম। এ সময় ওই ইউনিয়নের পাকার মাথা নামকস্থানে চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা তাঁকে থামতে বলেন। তিনি মোটরসাইকেল থামিয়ে চেয়ারম্যানকে সালাম দেন। এ সময় চেয়ারম্যান বলেন, ‘ইউপি নির্বাচনের সময় তুমি আমার বিরোধী দলে কাজ করেছ। এখন আমি চেয়ারম্যান, আমি যা বলব তাই হবে। তোমার শিক্ষকতা আমি ছোটাইয়া দিব।’ -এই কথা বলে চেয়ারম্যান হুমকি দিতে থাকেন এবং গালিগালাজ করেন। এ সময় ওই শিক্ষক তাঁর অপরাধ জানতে চাইলে চেয়ারম্যান নিজেই ওই শিক্ষকের কলার চেপে ধরেন। একই সময় চেয়ারম্যানের সঙ্গে থাকা ভাতিজা নাহিদ হাসানসহ কয়েকজন শিক্ষককে লাঞ্ছিত করেন এবং প্রাণ নাশের হুমকি দেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা বলেন, ‘ওই শিক্ষক বাজারের বিভিন্ন দোকানদারকে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল। নির্বাচনে আমার পক্ষে যেন কেউ কাজ না করে। তা ছাড়া ওই শিক্ষক খারাপ প্রকৃতির লোক। ঘটনাটি অনেক পূর্বের, নতুন করে সামনে নিয়ে এসেছে আমাকে হেয় করার জন্য।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপুল কুমার অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, তদন্ত করে গুরুত্ব অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ ছাড়া বিষয়টি চেয়ারম্যানদের মাসিক সভায় উত্থাপন করা হবে।