রংপুরে গঙ্গাচড়া উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার পরে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে অফিস সহায়কের বেতনের টাকা আত্মসাতের অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। এতে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর অফিস সহকারীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে।
গতকাল বুধবার মহাপরিচালক যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া এক চিঠিতে এসব তথ্য জানা গেছে। এর আগে বকেয়া বেতনের ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৪৯৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে গঙ্গাচড়া উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ও অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটরের বিরুদ্ধে।
গত ১৪ নভেম্বর অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় রংপুরের যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন অফিস সহায়ক মিনু মাই। এর আগে এ ঘটনায় গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর আজকের পত্রিকায় ‘ঝাড়ুদারের বেতনের সাড়ে ৩ লাখ টাকা মেরে দিলেন দুই কর্মকর্তা’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।
সংবাদ প্রকাশের ঘটনায় রংপুর যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালকের প্রাথমিক তদন্তে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটরের বিরুদ্ধে অফিস সহায়ক মিনু মাইয়ের বকেয়া বেতনের টাকা আত্মসাতের ঘটনার সত্যতা মেলে। পরে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে মহাপরিচালকের কার্যালয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হয়।
গত সোমবার যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গাজী মো. সাইফুজ্জামানের সই করা চিঠিতে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটরের বিরুদ্ধে অফিস সহায়কের ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৪৯৩ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় সহযোগিতা করা এবং বিষয়টি গোপন রাখার কারণে কেন চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে না অথবা বিধি মোতাবেক শাস্তি দেওয়া হবে না, তার জবাব চিঠি পাওয়ার ১০ কার্য দিবসের মধ্যে মহাপরিচালক বরাবর লিখিতভাবে চাওয়া হয়েছে। এর আগে গত ৫ মে যুব উন্নয়ন কর্মকর্তাকে শোকজ করা হয়।