ভারতে করোনাভাইরাস নেগেটিভ সনদ নিয়ে দেশে এসে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়া গেল একজনের। করোনাভাইরাস পজিটিভ ওই কিশোরীকে প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেল পৌনে ৪টায় হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে মায়ের সঙ্গে ভারত থেকে দেশে ফেরে তনুশ্রী রানী দাস (১৬)। সে বগুড়া জেলার আদমদীঘি থানার নসরতপুর বাজারের সব্যচি দাসের মেয়ে। গত বছরের ২৬ নভেম্বর যশোরের বেনাপোল ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে তনুশ্রী মা তৃষ্ণা রানী দাসের সঙ্গে চিকিৎসার জন্য ভারতে যায়।
হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শ্যামল কুমার দাস বলেন, ‘আজ বিকেলের দিকে তনুশ্রী রানী দাস নামের এক কিশোরী ও তার মা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করোনার আরটিপিসিআর পরীক্ষা করে করোনা নেগেটিভ সনদ নিয়ে ভারত থেকে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরেন। এ সময় ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে কর্তব্যরত মেডিকেল টিম তাঁদের পুনরায় অ্যান্টিজেন টেস্ট করে। এ সময় তনুশ্রীর করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। তবে তার মায়ের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
ডা. শ্যামল কুমার বলেন, ‘যেহেতু মা তার সংস্পর্শেই ছিল তাই আমরা মা ও মেয়ে দুজনকেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন সেন্টারে প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে রেখেছি।
ওই কিশোরী ওমিক্রনে আক্রান্ত কি না জানতে চাইলে ডা. শ্যামল কুমার বলেন, ‘শুধু করোনা পজিটিভ বা নেগেটিভ কি না এটি আমাদের দ্বারা নির্ণয় করা সম্ভব। কিন্তু ভারত থেকে আসা পাসপোর্ট যাত্রীদের মধ্যে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন কিংবা ডেলটা ধরন কি না এটি নির্ণয়ের জন্য জেনেটিক পরীক্ষা করা প্রয়োজন। সেটি ঢাকা ছাড়া সম্ভব নয়। অবশ্য এটি নির্ধারণের কোনো নির্দেশনা এখন পর্যন্ত আমরা পাইনি।’
এ নিয়ে সম্প্রতি হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারত থেকে করোনা নেগেটিভ সনদ নিয়ে দেশে আসা পাসপোর্ট যাত্রীদের মধ্যে তিনজন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হলেন।