দিনাজপুরের বিরামপুরে শাশুড়ির গায়ে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মেহেদুল ইসলাম (২৬) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। আজ বুধবার সকালে বিরামপুর পৌর শহরের পূর্বপাড়া মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে। অগ্নিদগ্ধ শাশুড়ি বুলী বেগমকে (৫৫) মুমূর্ষু অবস্থায় রংপুর মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে ঘটনার পর থেকে জামাই মেহেদুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন।
পারিবার সূত্রে জানা গেছে, ১০ বছর আগে বিরামপুর পৌর শহরের পূর্বপাড়া মহল্লার আফজাল হোসেন ও বুলী বেগম দম্পতির মেয়ে শিল্পী বেগমের সঙ্গে একই উপজেলার হাবিবপুর গ্রামের আজিবর রহমানের ছেলে মেহেদুল ইসলামের বিয়ে হয়। এরপর তাঁদের ঘরে তিনটি সন্তান জন্ম নেয়। মেহেদুল তাঁর শ্যালকের অটোরিকশা ভাড়ায় চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছিলেন। সম্প্রতি সেই অটোরিকশা ভেঙে যাওয়ায় শ্বশুরবাড়িতে দিয়ে যান। পরে ওই অটোরিকশা মেরামত করে অন্যের কাছে ভাড়ায় চালাতে দিলে জামাই মেহেদুল শ্বশুরবাড়ির লোকজনের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এর জেরে আজ সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মেহেদুল শাশুড়িকে মোবাইল ফোনে বাড়ির বাইরে রাস্তায় ডেকে নিয়ে গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন জালিয়ে পালিয়ে যান। এতে বুলী বেগমের শরীর আগুনে ঝলসে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বুলী বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করেন। স্বজনেরা দগ্ধ বুলী বেগমকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর আঙ্গুরা বেগম জানান, বুলী বেগমের মাথা ও মুখমণ্ডল ছাড়া পুরো শরীর আগুনে ঝলসে গেছে। তিনি বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। অগ্নিদগ্ধ বুলী বেগম রংপুরে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’