হোম > সারা দেশ > রংপুর

ঠাকুরগাঁওয়ে তাপমাত্রা নেমেছে ৯ ডিগ্রিতে, খোলা রয়েছে বিদ্যালয়

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

গত দুই সপ্তাহ ধরে ঠাকুরগাঁওয়ের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ। ঘন কুয়াশার সঙ্গে হাড় কাঁপানো কনকনে ঠান্ডায় ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবন। এমন পরিস্থিতিতেও ক্লাস করতে বাধ্য হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। 

আজ সোমবার সকাল ৭টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলেও জেলার সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রয়েছে। 

কয়েকটি বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, তীব্র ঠান্ডায় শিক্ষার্থীদের খোলা আকাশের নিচে দাঁড় করিয়ে করানো হচ্ছে পিটি। তবে স্কুলে শিক্ষার্থী উপস্থিতি ছিল কম। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামলে স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ থাকলেও তা না করায় অনেক অভিভাবকই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।  

ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের লিমা আক্তার নামে এক অভিভাবক বলেন, ‘আমার ছেলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। স্কুলে যাওয়া-আসার সময় প্রচণ্ড ঠান্ডা বাতাসে সে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। শিক্ষার্থীদের সুস্থ রাখতে কিছুদিন স্কুল বন্ধ রাখা প্রয়োজন।’ 

সদর উপজেলা মিলনপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল হামিদ বলেন, ‘ঠাকুরগাঁওয়ে তাপমাত্রা দশের নিচে নেমেছে। কুয়াশার সঙ্গে অতিরিক্ত ঠান্ডা বাতাস শিক্ষার্থীদের কষ্ট হচ্ছে। এমন হাড় কাঁপানো শীত, বড়রাই সহ্য করতে পারি না। শিশুরা কীভাবে সহ্য করবে?’ 

সদর উপজেলার ধন্দোগাঁও আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুমা আখতার বলেন, শীতের কারণে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে গেছে। 

গিলাবাড়ী আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহজাহান-ই-হাবিব বলেন, বিদ্যালয় খোলা থাকলেও অধিকাংশ শিক্ষার্থীই বিদ্যালয়ে উপস্থিত হচ্ছে না। তীব্র শীতের কারণে অনেক অভিভাবকই স্কুল বন্ধ রাখার জন্য অনুরোধ করছেন। কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা না পেলে স্কুল তো বন্ধ রাখা যায় না। 

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শাহীন আকতার বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের নির্দেশানুযায়ী সকাল ১০টার পর তাপমাত্রা দেখে বন্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। জেলাতে আবহাওয়া কার্যালয় না থাকায় মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে সকাল ১০টার পর তাপমাত্রা ১১ থেকে ১২ ডিগ্রি হয়ে গেছে, তাই বন্ধের বিষয়টি ভাবা হয়নি।’ 

জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার ৫টি উপজেলায় ৩৯৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১২৫টি মাদ্রাসা, ৫৭টি কারিগরিতে শিক্ষার্থী রয়েছে ২ লাখ ১০ হাজার ৫৭৮ জন। অন্যদিকে জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৯৯৮ টি। এ সব বিদ্যালয়ে প্রায় ৩ লাখ শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। 

এদিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আজ দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে ৪৫টি শয্যা বিপরীতে ১৮০ জন শিশু ভর্তি রয়েছে। গত কয়েক দিনে সর্দি-জ্বর, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে তারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। শয্যা সংকটের কারণে কোনো কোনোটিতে দুটি শিশুকে রাখা হয়েছে। শয্যায় জায়গা না পেয়ে অনেক রোগী ওয়ার্ড ও করিডরের মেঝেতে জায়গা দিতে হয়েছে। 

হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ সাজ্জাদ হায়দার শাহীন বলেন, শীতের এ সময়ে ভাইরাসের প্রবণতা বেড়ে যায়। শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে শিশু ও বয়স্কদের প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

পঞ্চগড়ে আবারও তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রির ঘরে

বাক্সবন্দী লাখ লাখ টাকার যন্ত্র

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ধাক্কা খেয়েছে জনগণের প্রত্যাশা: নুর

লালমনিরহাটে ট্রেনে কাটা পড়ে শিশুর মৃত্যু

মানুষের কষ্টের আগুনে পেট্রল ঢেলেছে সরকার: নুরুল হক

দেড় কিলোমিটার দূরে পুলিশের ফায়ারিং রিহার্সাল, বাড়িতে গুলিবিদ্ধ কিশোরী

ভূমি অধিগ্রহণে দুর্নীতির মহোৎসব

গাইবান্ধায় দুই পক্ষের বিবাদ মেটাতে গিয়ে প্রাণ গেল ইউপি সদস্যের

পঞ্চগড়ের মানুষ চাইলে সারজিস কিংবা কোনো তরুণ সংসদে প্রতিনিধিত্ব করবেন

মিজানুর রহমান আজহারী লালমনিরহাট যাচ্ছেন শনিবার

সেকশন