মাত্র ১৫ হাজার টাকা খরচে লাখ টাকার কাঠকচু বিক্রির আশা করছেন পীরগাছার কৃষক আজাদ মিয়া। পীরগাছা উপজেলার সদর ইউনিয়নের অনন্তরাম উচাপাড়া রেলগেট এলাকার বাসিন্দা আজাদ মিয়া দীর্ঘদিন ধরে কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রচণ্ড রোদে সারি সারি কচু খেতের ভেতরে কাজ করছেন আজাদ মিয়া। তিনি জানান, মাত্র ১৮ শতাংশ জমিতে কাঠকচু চাষ করেছেন। জমি চাষ, বীজ রোপণ, সার-পানিসহ তাঁর খরচ হয়েছে মাত্র ১৫ হাজার টাকা। নিজে পরিশ্রম করে জমি পরিচর্যা করছেন। এক মাস আগে থেকেই কচুর লতা বিক্রি করে তিনি খরচ ১৫ হাজার টাকাসহ অতিরিক্ত ১০ হাজার টাকা তুলে ফেলেছেন। এখন কচুর গাছগুলো বড় হয়েছে। আর মাত্র ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে তিনি কচু বিক্রি করতে পারবেন। বাজারে প্রতিটি কাঠকচু ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি করা যাবে। সব মিলিয়ে এই জমি থেকে তার লাখ টাকার কচু বিক্রি সম্ভাবনা রয়েছে।
আজাদ মিয়া বলেন, কাঠকচুতে অধিক লাভ। তাই অনেকে চাষ করে। তবে পরিশ্রম না করলে ফল পাওয়া যায় না। পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ এই কাঠকচু সবজি হিসেবে বেশ লোভনীয় খাবার।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, কাঠকচুতে অনেক লাভ। কিন্তু কেউ করতে চায় না। কৃষি বিভাগ থেকেও তেমন পরামর্শ দেওয়া হয় না। যদি কৃষি বিভাগ সাধারণ কৃষককে পরামর্শ দিত, তাহলে কচু থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আমাদের কৃষকেরা লাভ করতে পারতেন।
এ বিষয়ে পীরগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পীরগাছা উপজেলায় ২০০ হেক্টর জমিতে মুখীকচু, লতিকচু, ওলকচু, পানিকচু ও কাঠকচু চাষ করা হয়েছে। প্রতি বছরই কচুর চাষ বাড়ছে। আমরা কৃষকদের কচু চাষে উদ্বুদ্ধ করছি, পরামর্শ দিচ্ছি। তবে ভালো মানের বীজ হলে ভালো ফলন ও অধিক লাভ করা সম্ভব।’