কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ষাটোর্ধ্ব নারীকে মারধরের ঘটনায় যুবদল নেতা ও তাঁর অনুসারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে এলাকাবাসীর অংশগ্রহণে উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের পাম্প মোড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। পরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে গিয়ে তাঁরা মানববন্ধন করেন।
অভিযুক্ত রেজাউল করিম উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। তাঁর সহযোগীরা হলেন আমিনুল ইসলাম (৪৫), মিজানুর রহমান (৩৮) ও ইসমাইল হোসেন (৩০)।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে ভুক্তভোগী নারীর ছেলে হাফিজুর বলেন, ‘গত শনিবার রাতে উপজেলা যুবদল নেতা রেজাউল করিম রাস্তা আটকে আমার মাকে মারধর করেন। যে কারণে থানায় মামলা দেওয়া হয়েছে। থানায় মামলা দেওয়ার কারণে আমাদের হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে। তাই আজ এলাকাবাসী এই মানববন্ধনের আয়োজন করেছে।’
স্থানীয় আকলিমা বেগম বলেন, ‘এক নারীকে মারধর করা মানে সকল নারীকে মারধর করা। আমি বিএনপির নেতা রেজাউল করিম ও ইসমাইল হোসেনের বিচার চাই। আমাদের কোনো নিরাপত্তা নাই, আমরা নিরাপত্তা চাই।’
ভুক্তভোগী মালেকা বলেন, ‘আমি আমার ছেলেকে খুঁজতে পাম্পের মোড়ে গিয়েছিলাম। বাড়ি ফেরার পথে রেজাউল আমার পথ রোধ করে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকে। একপর্যায়ে সে আমাকে ধাক্কা মারলে পাশে থাকা বেঞ্চের ওপর পড়ে যাই। এরপর সে আমার গালে চড়থাপ্পড় মারতে থাকে। এ সময় আমার ছেলে ও ছেলের বউ এগিয়ে এলে তাদেরও মারধর করে। পরে স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে বাড়ি পৌঁছে দেয়।’
এর আগে গত শনিবার বিকেলে উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের মজিদের পাড় এলাকায় ষাটোর্ধ্ব এক নারীকে মারধরের ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী নারীর নাম মালেকা বেগম (৬৫)। তিনি ওই এলাকার শহীদুল ইসলামের স্ত্রী। পরদিন রোববার দুপুরে থানায় যুবদল নেতাসহ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়।