মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি
দারিদ্র্যকে হার মানিয়ে মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় পাস করেছেন সাবিকুন নাহার শিনু; কিন্তু তাঁর মন খারাপ। কারণ তাঁর মায়ের পক্ষে পড়াশোনার খরচ জোগান দেওয়া আদৌ সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে।
শিনু রংপুরের মিঠাপুকুর কলেজের প্রয়াত কর্মচারী শফিকুল ইসলামের মেয়ে। শফিকুল ধারদেনায় জর্জরিত হয়ে ২০১৯ সালে আত্মহত্যা করেন। তখন তাঁর স্ত্রী তাসলিমা খাতুন দুই মেয়ে নিয়ে ভাইয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেন। এরপর কলেজ কর্তৃপক্ষ তাঁকে স্থায়ী কর্মচারী হিসেবে কাজের সুযোগ দেয়।
তাসলিমা জানান, মেয়ের সাফল্যে তিনি খুশি হলেও খরচ নিয়ে শঙ্কিত। তিনি কলেজ থেকে মাসে সাড়ে ৪ হাজার টাকা বেতন পান। এই টাকায় সংসার চালানোই কঠিন।
এমন প্রতিকূল অবস্থা ডিঙিয়ে শিনু সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য মনোনীত হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষের সেবা দেওয়ার স্বপ্নে আমি চিকিৎসক হতে চাই। কিন্তু মেডিকেল কলেজে পড়তে তো অনেক টাকার দরকার। মা খরচ বহন করতে পারবেন কি না, এ নিয়ে শঙ্কা হয়।’