কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের উলিপুরের বজরা ইউনিয়নে তিস্তায় নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধানে চলা উদ্ধার অভিযান দ্বিতীয় দিনের মতো শেষ হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অভিযান স্থগিত করা হয়। তবে দিনভর চলা উদ্ধার অভিযানে নিখোঁজ কারও সন্ধান মেলেনি।
উলিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আতাউর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নৌকাডুবির ঘটনায় এক দম্পতি ও তাঁদের এক সন্তানসহ ছয় যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন বলে স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে। তীব্র স্রোতে অশান্ত তিস্তায় দিনভর উদ্ধার অভিযান চালিয়ে নিখোঁজ যাত্রীদের কারও সন্ধান পাওয়া যায়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অভিযান স্থগিত করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে আবার উদ্ধার অভিযান চালানো হবে।
নিখোঁজ যাত্রী আনিছুর রহমানের বাবার বরাতে ইউএনও আরও বলেন, আনিছুরের বাবা তাঁর ছেলে, পুত্রবধূ ও নাতনির নৌকায় থাকা এবং নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিখোঁজ অপর তিন যাত্রীও শিশু বলে স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে।
ইউএনও বলেন, ‘নদী অশান্ত। প্রতিকূলতার মধ্যে ডুবুরি দল চেষ্টা চালিয়ে গেছে। ঘটনাস্থলের ভাটিতে চিলমারী ও সুন্দরগঞ্জ এলাকায় নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধানে আমরা নজর রেখেছি। এ ছাড়া হরিপুর সেতুর কাছেও টিম রাখা হয়েছে। নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধানে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আজ শুক্রবারও উদ্ধার অভিযান চলবে।’
এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় উলিপুরের বজরা ইউনিয়নের খামারদামার হাট এলাকার মাঝের চরের কাছে তিস্তা নদীতে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। নৌকায় নারী, শিশুসহ ২৫ জন যাত্রী ছিলেন বলে উদ্ধার যাত্রীদের দেওয়া তথ্য থেকে জানা গেছে। উলিপুরের বজরা পুরান বাজার এলাকায় দাওয়াত খেয়ে তারা তিস্তা নৌপথে রংপুরের পীরগাছা এলাকার পাওটানা গাবুরারচর গ্রামে ফিরছিলেন। বজরা ইউনিয়নের খামারদামার হাট মাঝের চরের কাছে নৌকাটি ডুবে যায়। বুধবার রাত পর্যন্ত ১৮ জনকে জীবিত এবং আয়শা নামে দেড় বছরের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। এখনো নিখোঁজ রয়েছে অন্তত ছয়জন।