সান্তাহার-দিনাজপুর-পঞ্চগড় রুটে চলাচলকারী ৭ আপ ও ৮ ডাউন মেইল ট্রেন দুটি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। করোনাকালীন ট্রেন দুটি বন্ধ রাখে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতি অনেকটা কমে গেলে এ রুটে আন্তনগরসহ অন্য ট্রেনগুলো চলাচল শুরু করে। কিন্তু এ পর্যন্ত চালু করা হয়নি বন্ধ এ দুটি ট্রেন।
ভুক্তভোগীরা জানান, রংপুর, পার্বতীপুর, দিনাজপুর ও পঞ্চগড় যাওয়ার জন্য যাত্রীদের এই ট্রেন দুটিই একমাত্র ভরসা। অথচ গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন দুটি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রাখায় যাত্রীদের চরম দুর্ভোগে ফেলছে। এমতাবস্থায় অনেকেই নিরুপায় হয়ে প্রয়োজনের তাগিদে বিভাগীয় শহর রংপুর ও শিক্ষা বোর্ড দিনাজপুরে অতিরিক্ত ভাড়ায় দিয়ে বাসে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা রেলস্টেশনে রংপুর, পার্বতীপুর, দিনাজপুর ও পঞ্চগড়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষমাণ যাত্রী মুনছুর আলী, শামীম মিয়া, আ. ছাত্তার, আমিনুল সাগর আলীসহ ভুক্তভোগী অনেকেই বলেন, ‘স্টেশনে ৭ আপ ট্রেনে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু স্টেশনে আসার কিছুক্ষণ পর জানতে পারি ট্রেনটি এখনো চালু করা হয়নি। এখন বাধ্য হয়ে আমাদের বাসে গন্তব্যস্থানে যেতে হবে।’
নলডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহরিয়ার ইসলাম রাসেল জানান, গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন দুটি বন্ধ থাকায় এ এলাকার মানুষজন বিভাগীয় শহর রংপুর ও শিক্ষা বোর্ড দিনাজপুরে যাতায়াতে চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। অনতিবিলম্বে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে ট্রেন দুটি চলাচলের জন্য জোর দাবি জানাই।
নলডাঙ্গা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুজন সরকার ও যুবলীগ নেতা শরীফ জানান, ট্রেন হচ্ছে যাত্রীদের জন্য নিরাপদ ও স্বস্তিকর যাত্রাপথ। এ জন্য মানুষজন ট্রেনে যাতায়াত করতে অনেকটা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। আর বাসে চলাচল করা অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ ভেবে কেউ কেউ কেউ বাসে যেতে চান না। ট্রেন দুটি বন্ধ থাকায় এ অঞ্চলের বিশাল জনগোষ্ঠীকে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। তাই এ বিষয়ে রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে জানতে বাংলাদেশ রেলওয়ে লালমনিরহাট ডিভিশনের ট্রাফিক সুপারিনটেনডেন্টের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোনটি ধরেননি।