কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে সবজির দাম কমায় ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। তবে কিছু সবজির দাম অধিক পরিমাণে কমে যাওয়ায় উৎপাদন খরচ তুলতে না পেরে লোকসান গুনতে হচ্ছে চাষিদের।
আজ শনিবার দুপুরে ভূরুঙ্গামারী উপজেলার ভূরুঙ্গামারী হাটের ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আলু, বেগুন ও শিম প্রতি কেজি ১৫ টাকা; গাজর, শসা, ক্ষীরা, ধনেপাতা, লালশাক ও পালংশাক প্রতি কেজি ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচ, ওলকপি ও টমেটো ৩০ টাকা; ফুলকপি প্রতি কেজি ১০ টাকা; বাঁধাকপি ও মুলা প্রতি কেজি ৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৫০ টাকা, আদা প্রতি কেজি ১৬০ ও রসুন ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া অন্যান্য সবজির দাম সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।
সবজি বিক্রেতা আয়নাল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, সব ধরনের সবজির দাম আগের চেয়ে কমেছে। বেশির ভাগ সবজির কেজিপ্রতি দাম ২০ টাকার আশপাশে রয়েছে। সবজি ব্যবসায়ী মিনহাজ বলেন, ‘প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৩০ ও ধনেপাতা ২০ টাকা দরে বিক্রি করছি।’
সবজি ক্রেতা মাহবুব উল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, শীতকালীন সবজির দাম সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। আরেক ক্রেতা নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘সবজির দাম কম। সবজি কিনে স্বস্তি পাচ্ছি।’
চাষি আজিজার রহমান বলেন, ‘আধা বিঘার বেশি জমিতে মুলা চাষ করেছি। ৩ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। সব মিলিয়ে ১ হাজার ২০০ টাকা বিক্রি করেছি। খরচের টাকা উঠবে না।’
চাষি মমিন মিয়া বলেন, ‘এক বিঘা ৮ শতক জমিতে ফুলকপি লাগিয়েছি। খরচ হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। ১০ হাজার টাকার মতো বিক্রি করতে পেরেছি।’