চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ঘন কুয়াশা কমলেও তিন দিন ধরে সূর্যের দেখা নেই। তাতে কনকনে ঠান্ডায় কাবু হয়ে পড়েছে মানুষজন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের তাপমাত্রা কমে রাতের কাছাকাছি গিয়ে ঠেকেছে।
এদিকে কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করে দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষজন কাজে বের হলেও গরম কাপড়ের অভাবে কষ্টে রয়েছে তারা। বিশেষ করে উত্তরীয় হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় কাহিল হয়েছে পড়েছে নদ-নদী তীরবর্তী চর ও দ্বীপ চরের মানুষেরা। কনকনে ঠান্ডায় কাজে যেতে না পারায় অর্থের অভাবে খাবারের কষ্টে পড়েছে শ্রমজীবীরা।
উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের বালাবাড়ীহাট এলাকার জয়নাল হক বলেন, কয়েক দিন ধরে খুব ঠান্ডা। ঘর থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। বাতাসের কারণে ঠান্ডা বেশি।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাপমাত্রা আরও দুই-একদিন এমন থাকবে। পরে একটু উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তা ছাড়া এ মাসে আরও একটি শৈত্যপ্রবাহ এ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রুকুনুজ্জামান শাহীন বলেন, উপজেলায় শীত নিবারণে ৩ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এই মুহূর্তে শীতবস্ত্র মজুত নেই। বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। পেলে বিতরণ করা হবে।