২০০১ থেকে ২০২৩। মাঝখানে পেরিয়ে গেছে দীর্ঘ বাইশটি বছর। এর মধ্যে দেখা নেই স্কুল জীবনের বন্ধু ও প্রিয় শিক্ষকদের। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পুরোনো বন্ধুদের খুঁজতে শুরু করেন কয়েকজন বন্ধু। অবশেষে এক এক করে ৪৫ জন বন্ধুদের সন্ধান পেলেন তাঁরা। সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা এক সঙ্গে হবে। যে সিদ্ধান্ত সেই কাজ। এক হন শিক্ষার্থীরা সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির তৎকালীন ও বর্তমান শিক্ষকেরা।
দীর্ঘ ২২ বছর পর সেই পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে দেখা পাওয়ায় তাদের উচ্ছ্বাস ছিল বাঁধভাঙা। দেখা মাত্রই আলিঙ্গন। সেলফি তুলে বন্ধুদের ফ্রেমবন্দী করে রাখতে ভুললেন না কেউই। আজ সোমবারের চিত্র ছিল দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ সরকারী বহুমুখী পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের এসএসসি-২০০১ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ঈদ পুনর্মিলনী ও মিলনমেলার।
বন্ধুদের পরিবারের সদস্যসহ প্রায় দেড় শতাধিক সদস্যদের নিয়ে মিলন মেলা ছিল উল্লাস ও বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাসে প্রাণবন্ত।
এদিন বেলা ১১টায় বিদ্যালয় হলরুমে প্রধান শিক্ষক মি. দিলীপ কুমার সাহার সভাপতিত্বে আলোচনা সভা হয়। পরে সাবেক নারী শিক্ষার্থীদের বালিশ খেলা, কুইজ, ফটোসেশনসহ মধ্যাহ্নভোজের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।
আলোচনা সভায় জ্যেষ্ঠ শিক্ষক জহুরুল হক সাবেক শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, তোমরা যেখানেই যাও ধর্মীয় নীতি নৈতিকতা বজায় রেখে চলবে, এর কোন বিকল্প নেই। এতে কোনো ছাড় দিবে না। পরিশেষে ২০০১ ব্যাচের প্রশংসা করেন এই শিক্ষক।
এই ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী শাহাদাত হোসেন বাবু বলেন, ‘অনেক দিন থেকে আমি চেষ্টা করছি আমরা যারা ২০০১ ব্যাচের শিক্ষার্থী তাঁদের নিয়ে একটা গেট টুগেদার করা। সে লক্ষ্যে কাজ শুরু করি আমরা কয়েকজন। অবশেষে আজ সফল হয়েছে।’ এক এক করে ৪৫ জন বন্ধুসহ প্রায় দেড় শ জনের উপস্থিতির কথা জানান তিনি।
এ ব্যাচের আরেক সাবেক শিক্ষার্থী ফেরদৌসী কণা বলেন, ‘ছোটবেলার সহপাঠীদের এক সঙ্গে দেখা পাব এটা কখনো ভাবিনি, আজ সকলকে এক সঙ্গে পেয়ে ঈদের খুশি অনেকাংশে বেড়ে গেছে। আমি আশা করি আমরা চাইলে এমন সুন্দর অনুষ্ঠান প্রতিবছর করতে পারি।’ সেই সঙ্গে সামাজিক কিছু কাজ অনায়াসে করা যাবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।
সভায় আরও বক্তব্য দেন বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. নজরুল ইসলাম, জ্যেষ্ঠ শিক্ষক মো. জহুরুল হক, আ. ছালাম, সেকেন্দার আলী, আ. মোন্নাফসহ ওই ব্যাচের শিক্ষার্থী শাহাদাত বাবু, কাস্টম কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান, সহকারী শিক্ষিকা কনা ও জাহানারা বেগম, শ্যামলী রানী, ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম, বেনজির আহমেদ ও জাকিরুল ইসলাম প্রমুখ।