গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় ‘অচেনা প্রাণীর’ আক্রমণ থামছেই না। আজ সোমবার দুপুরে উপজেলার পবনাপুর ইউনিয়নের বরকতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হাসনা বেগম (৩০) নামে এক নারী আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি ওই গ্রামের আসাদুল ইসলামের স্ত্রী।
স্থানীয় একটি কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে শিশু সন্তানের ওষুধ নিয়ে বাড়ি ফেলার পথে আক্রমণের শিকার হন হাসনা বেগম। তাঁকে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) তানভীর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, হাসনা বেগমের কোমরে যে ক্ষত, তা কোনো প্রাণীর আক্রমণ থেকেই হয়েছে। তাঁকে অ্যান্টি রেবিস ভ্যাকসিন (জলাতঙ্কের টিকা) দেওয়া হয়েছে। তিনি সুস্থ আছেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আলতাব হোসেন কাজল জানান, অচেনা জন্তুটি শেয়ালের কোনো উপজাতি বলে আমরা ধারণা করছি। সেটি জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত বলে মানুষ-গবাদি পশুকে কামড় দিচ্ছে। আক্রান্তদের টিকা নিশ্চিত করা হচ্ছে।
দেড়মাস ধরে পলাশবাড়ী উপজেলার ছয়টি গ্রামে অচেনা এই প্রাণী আক্রমণ শুরু হয়েছে। গ্রামগুলো হচ্ছে-তালুক কেঁওয়াবাড়ি, হরিণাথপুর, কিশামত কেঁওয়াবাড়ি, খামার বালুয়া, দুলালেরভিটা ও তালুকজামিরা। এই প্রাণীর আক্রমণে ফেরদৌস ইসলাম নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ২০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন বলে দাবি স্থানীয়দের।
আক্রান্তদের দাবি, প্রাণীটি দেখতে শিয়ালের মতো। মাথা ও লেজ বেশ বড়। এটি ঝোপ-জঙ্গল, ধানের জমি থেকে হঠাৎ বেরিয়ে আক্রমণ করে।