লালমনিরহাট প্রতিনিধি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লংমার্চ কর্মসূচির সময় ঢাকায় সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ কলেজ শিক্ষার্থী মিরাজ খান তিন দিন পর মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। মিরাজের বাড়ি লালমনিরহাটের আদিতমারীতে।
মিরাজ খান আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়নের বারঘড়িয়া সর্দারপাড়া গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে। তিনি দনিয়া মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী। মহিষখোঁচা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আশরাফ আলী গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিরাজের মৃত্যু হওয়ার তথ্য আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লংমার্চ টু ঢাকা কর্মসূচিতে ৫ আগস্ট অন্য শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে ঢাকায় অংশ নেন কলেজশিক্ষার্থী মিরাজ খান। ওই দিন আন্দোলন চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন মিরাজ খান। সহযোদ্ধারা প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরে তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে অস্ত্রোপচারে গুলি বের করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকালে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
মিরাজের বাবা আব্দুস সালাম বলেন, ‘আমার ছেলে কোটা সংস্কার তথা হাসিনা হটাও আন্দোলনে গিয়ে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের গুলিতে আহত হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিরাজ মারা গেছে।’ ছেলের আত্মার শান্তি কামনায় সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন তিনি।