গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে আজ রোববার সকাল ১০টা ৫ মিনিটে তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তখনো সূর্যের দেখা মেলেনি। কুয়াশা বেশি থাকায় সড়কে চলাচল যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। খুব বেশি দরকার ছাড়া বাইরে কাউকে ঘুরতে দেখা যায়নি। এ অবস্থায় বেশি বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষজন। এ অবস্থা থাকলে নষ্ট হতে পারে বীজতলা, আলুসহ মাঠে থাকা বিভিন্ন সবজি।
সুন্দরগঞ্জ পূর্ব বাইপাস মোড়ে কথা হয় ট্রাকচালক মো. হযরত আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে ২০ গজ সামনে কী আছে তা দেখা যাচ্ছে না। দুর্ঘটনা এড়াতে হেডলাইন জ্বালিয়ে গাড়ি চালাচ্ছি। সে কারণে মালামাল পরিবহনে সময় বেশি লাগছে।
মোটরসাইকেলচালক মো. রাজু মিয়া বলেন, ‘শীতে সড়ক ঢাকা। সামনের কিছুই দেখা যাচ্ছে না। সে কারণে লাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালাচ্ছি।’
ফারহানা মেডিকেল স্টোরের মালিক মো. ফারুক মিয়া বলেন, এখন সকাল ১০টা। একজন মাত্র ক্রেতা এসেছিলেন। প্রচণ্ড শীতের কারণে মানুষ বাইরে বের হচ্ছেন না।
আলু চাষি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পাঁচ বিঘা জমিতে আলু লাগিয়েছি। চড়া দামে আলুর বীজ কিনতে হয়েছে। সে কারণে এবার প্রচুর খরচ হয়েছে। শীত এভাবে অব্যাহত থাকলে ক্ষতিগ্রস্ত হব।’
রংপুর বিভাগের আবহাওয়া অফিসের দায়িত্বে থাকা আবহাওয়াবিদ মো. মোস্তাফিজার রহমান বলেন, ‘এ মুহূর্তে গাইবান্ধা জেলায় ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শনিবার তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামীকাল সোমবার তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা আছে।’