হোম > সারা দেশ > রংপুর

খানসামায় অস্ত্রোপচার ছাড়াই জন্ম নিল ৫ কেজি ওজনের শিশু

খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯: ১৭
খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় জন্ম নেওয়া সেই শিশু ও তাঁর মা। ছবি: আজকের পত্রিকা

স্বাভাবিক প্রসব প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে প্রায় পাঁচ কেজি ওজনের নবজাতকের জন্ম দিয়েছেন এক নারী। দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ও ধাত্রীদের ভাষ্য, শিশুদের স্বাভাবিক গড়ের চেয়ে এই শিশুর ওজন বেশি। নবজাতক পুরোপুরি সুস্থ আছে।

গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের লেবার ওয়ার্ডে কর্মরত মিডওয়াইফ ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রচেষ্টায় স্বাভাবিক সন্তান প্রসবের মাধ্যমে ৪ কেজি ৯০০ গ্রাম ওজনের এই ছেলে শিশুর জন্ম হয়।

উপজেলার পূর্ব হাসিমপুর পালোয়ানপাড়া গ্রামের মোতালেব হোসেনের স্ত্রী শরিফা খাতুন (২৯) প্রসব ব্যথা নিয়ে গতকাল সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। পরে কর্মরত মিডওয়াইফ-নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রচেষ্টায় স্বাভাবিক সন্তান প্রসবের (নরমাল ডেলিভারি) মাধ্যমে তিনি তৃতীয় সন্তানের জন্ম দেন। তিনি তাঁর আগের দুই সন্তানকেও স্বাভাবিক প্রসবের মাধ্যমে জন্ম দেন।

শরিফা খাতুন বলেন, ‘সবই আল্লাহর ইচ্ছা। আগের বাচ্চাগুলোও নরমাল ডেলিভারিতে হয়েছে। তাদের ওজনও ছিল প্রায় তিন-চার কেজি। আর আজ (রোববার) জন্ম নেওয়া ছেলে সন্তানের ওজন প্রায় পাঁচ কেজি। আল্লাহর রহমতে বাচ্চাসহ আমি সুস্থ আছি।’

কর্তব্যরত মিডওয়াইফ মোছা. রুনা লায়লা বলেন, ‘জীবনে প্রথমবার সর্বোচ্চ ওজনের বাচ্চা নরমাল ডেলিভারি করালাম। মা ও বাচ্চা দুজনেই সুস্থ আছে।’ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ ও সহকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘নরমাল ডেলিভারির প্রতি ওই প্রসূতি মায়ের দৃঢ়তা ও আস্থার ফলে আমাদের কাজ সহজ হয়েছে।’

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সাধারণত ৪ কেজি বা ৮ পাউন্ডের বেশি ওজনের বাচ্চাদের বলা হয় ফিটাল ম্যাক্রোসোমিয়া। শিশুর মা-বাবা ডায়াবেটিক আক্রান্ত অথবা মা-বাবার বেশি ওজন হলে শিশুর এমন ওজন হতে পারে। তবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জন্ম নেওয়া ওই নবজাতকের মা-বাবার এমন কোনো রেকর্ড ছিল না। নরমাল ডেলিভারিতে এমন সন্তান প্রসবে ঝুঁকি থাকলেও প্রসূতি মায়ের ইচ্ছা ও সহকর্মীদের প্রচেষ্টায় স্বাভাবিক সন্তান প্রসবের মাধ্যমে প্রায় ৫ কেজি ওজনের শিশুর জন্ম হয়েছে। বর্তমানে প্রসূতি মা-শিশু সুস্থ আছেন, আমরা তাঁদের প্রতি খেয়াল রাখছি।’

উল্লেখ্য, স্বাভাবিক সন্তান প্রসবের জন্য খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জেলায় বেশ কয়েকবার প্রথম স্থান অধিকার করে প্রশংসিত হয়েছে।

রেলক্রসিংয়ে মৃত্যুরোধে খানসামায় স্কুলশিক্ষার্থীদের ‘সুরক্ষা প্রজেক্ট’

পণ্যবাহী ট্রাক উল্টে বাড়িতে, ঘুমন্ত দাদি নিহত, বাঁচল নাতি

খেলার মাঠ উদ্ধারের দাবিতে ইউএনওকে স্মারকলিপি

সেকশন