দিনাজপুরের বিরামপুরে বাজারে এসেছে মৌসুমি ফল লিচু। লাল-হলুদ রং দেখে সেসব লিচু কিনে ক্রেতারা প্রতারিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ভোক্তাদের অভিযোগ, বাজারে ক্রেতাদের বাড়তি চাহিদা থাকায় ও অতিরিক্ত লাভের আশায় অপরিপক্ব লিচু বাজারে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। লিচুর কাঙ্ক্ষিত স্বাদ পাচ্ছেন না তারা।
বিক্রেতারা বলছে, এতে তাদের কোনো হাত নেই। ক্রেতাদের চাহিদা থাকায় লিচু অপরিপক্ব থাকতে ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছেন লিচু চাষিরা।
আজ রোববার দুপুরে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঢাকা মোড়, নতুন বাজার, পুরোনো বাজার, কলেজ বাজারসহ শহরের বিভিন্ন বাজারের মোড়ে মোড়ে লিচুর ডালি নিয়ে বসে ও দাঁড়িয়ে লিচু বিক্রি করছেন খুচরা বিক্রেতারা। লিচু বিক্রেতাদের ডালির ভেতরে দেখা যায় পাতা দিয়ে মোড়ানো লালচে রঙের লিচু। দেশীয় জাতের লিচু প্রতি ১শ পিচ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়।
বাজারে লিচু কিনতে আসা কামরুজামান নামের এক ব্যক্তি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘লিচু একটি মৌসুমি সু-স্বাদু ফল। আমরা পৌর শহরে বসবাস করি এবং বাড়ির অল্প জায়গায় ফল-ফলাদির গাছ লাগাতে পারি না। সে জন্য বাড়িতে বাচ্চাদের জন্য বাজারে লিচু কিনতে আসছি। তবে এবার লিচুর দাম কিছুটা সহনীয় হলেও লিচুগুলো এখনো অপরিপক্ব। এ কারণে তেমন স্বাদ পাওয়া যাচ্ছে না।’
শহিদুল ইসলাম আরও বলেন, ‘লিচুগুলো বিরামপুর উপজেলার আশপাশের গ্রামের ব্যবসায়ীদের ডেকে নেওয়া বাগান থেকে সংগ্রহ করছি। আমার খুচরা ব্যবসায়ীরা লিচুর বাগান থেকে পাইকারিতে লিচু কিনি প্রতি ১শ লিচু ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। আবার বিক্রি করছি প্রতি ১শ লিচু বিক্রি করছি ১৮০ থেকে ২০০ টাকা দরে।’
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষিবিদ ফিরোজ আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিরামপুর উপজেলা জুড়ে ১০৫ হেক্টর জমিতে লিচু চাষ হয়েছে। এবার ফলন বেশ ভালো হয়েছে। আমরা লিচু চাষিদের সব ধরনের সহযোগিতা করে আসছি। বাজারে লিচু উঠতে শুরু করেছে। তবে লিচু অপরিপক্ব থাকলে বা প্রকৃত রং হলে লিচুর স্বাদ আসবে না। তাই অপরিপক্ব লিচু না কেনা ভালো।’