হিলি প্রতিনিধি
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর থেকে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত প্রথম পাঁচ মাসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রাজস্ব আহরণে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৫ কোটি ২৭ লাখ টাকা। এ সময় বন্দর থেকে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৯৭ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। এর বিপরীতে ওই সময়ে আহরণ করা হয়েছে ১৬২ কোটি ৩১ লাখ টাকা। বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানির যে ধারা, তাতে অর্থবছরের বাকি সময়ের মধ্যে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা অসম্ভব বলে জানিয়েছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
হিলি স্থল শুল্ক স্টেশন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিগত ২০২০-২১ অর্থবছরে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার অধিক রাজস্ব আহরণ করায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর থেকে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা কিছুটা বাড়িয়ে নির্ধারণ করে ৪৫৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা। সেই হিসাব মোতাবেক অর্থবছরের প্রথম জুলাই মাসে বন্দর থেকে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। এর বিপরীতে আহরিত হয়েছে ৩৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। আগস্ট মাসে ৪৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরিত হয়েছে ২৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। সেপ্টেম্বর মাসে ৩৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরিত হয়েছে ৩৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা। অক্টোবর মাসে ৩৯ কোটি ২ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরিত হয়েছে ৩৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা। নভেম্বর মাসে ৪০ কোটি ৩২ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৩২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা আহরিত হয়েছে।
রাজস্ব কর্মকর্তা আরও বলেন, বন্দরের রাজস্ব আহরণ মূলত বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানির ওপর নির্ভর করে। তবে বর্তমানে বন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানির যে ধারা বিরাজমান রয়েছে, তাতে অর্থবছরের বাকি সময়ে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা অসম্ভব।