গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি
রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলছে। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় মহানগর এলাকায় মোট ২২৯টি ভোটকেন্দ্রে একযোগে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।
কনকনে শীত উপেক্ষা করে সকাল থেকেই ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের সরব উপস্থিতি দেখা গেছে। এমনকি ৮০ বছর বয়সী সুমিত্রা রানীও এসেছেন ভোটকেন্দ্রে। বয়সের ভারে একা চলতে পারেন না তিনি, এসেছেন নাতি টিটুলের কোলে চড়ে। শেষ বয়সে তাঁর ইচ্ছা ছিল ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট দেওয়ার।
আজ মঙ্গলবার তৃতীয় ধাপের রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের ২০১ নম্বর কেন্দ্র মাহিগঞ্জ কলেজে এ দৃশ্য দেখা যায়।
সুমিত্রা রানীর নাতি টিটুল বলেন, ‘ভোট হচ্ছে মানুষের নাগরিক অধিকার। তাই ভোট দেওয়ার জন্য কাউকে বাধা দিতে নেই। আমার নানির ইচ্ছে ছিল শেষ বয়সে তিনি ইভিএম মেশিনে ভোট দেবেন। তাই তাঁর ইচ্ছেপূরণে তাঁকে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে এসেছি।’
এদিকে ভোট দিতে এসে ইভিএমের ধীরগতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন অনেক ভোটার।
উল্লেখ্য, ভোটের মাঠে খাতা-কলমে মেয়র পদে প্রার্থী ৯ জন। তবে স্থানীয় ভোটাররা বলছেন, প্রার্থী ৯ জন হলেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে তিন প্রার্থীর মধ্যে। তাঁরা হলেন সদ্য বিদায়ী মেয়র জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা (লাঙল)। আওয়ামী লীগের প্রার্থী হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া (নৌকা)। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) লতিফুর রহমান মিলন (হাতি)। তবে শেষ পর্যন্ত লড়াইটা গড়াবে মোস্তফা আর ডালিয়ার মধ্যে।
অন্য ছয় প্রার্থী হলেন বাংলাদেশের জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-ইনু) শফিয়ার রহমান (মশাল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরুজ্জামান পিয়াল (হাতপাখা), খেলাফত মজলিশের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল রাজু (দেয়ালঘড়ি), জাকের পার্টির খোরশেদ আলম খোকন (গোলাপ ফুল), বাংলাদেশ কংগ্রেসের আবু রায়হান (ডাব), মেহেদী হাসান বনি (হরিণ)।