Ajker Patrika
হোম > সারা দেশ > রংপুর

মাথা গোঁজার ঠাঁই পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তাহেরা

সাঘাটা (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি

মাথা গোঁজার ঠাঁই পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তাহেরা

মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই ৪৭ বছর বয়সী গাইবান্ধার তাহেরা বেগমের। ৫ মাস ধরে স্থানীয় একজনের বাঁশঝাড়ে একটি খুপরি ঘর তুলে বসবাস শুরু করলেও সম্প্রতি ওই জায়গাটিও ছেড়ে যাওয়ার তাগাদা দিচ্ছেন মালিক। আর এ নিয়ে একেবারেই কূল-কিনারা খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি। 

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) একটি ঘরের আশ্বাস দিলেও পাননি তিনি। গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ঘুড়িদহ ইউনিয়নের মধ্য পবনতাইড় গ্রামের বাসিন্দা তাহেরা বেগম। 

আজ বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, ইউনিয়নের বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের পশ্চিম পাশেই অন্যের একটি জমিতে বাঁশঝাড়ে সাময়িকভাবে আশ্রয় নিয়ে অর্ধাহারে-অনাহারে দিন পার করছেন তিনি। 

তাঁর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৫ বছর আগে ওই প্রথম স্বামী মারা গেলে দ্বিতীয় বিয়ে করেন তাহেরা। বিয়ের সময় ভেবেছিলেন বাকি জীবন হয়তো স্বামী সংসারে ভালোভাবেই কাটাবেন। কিন্তু বেশি দিন টেকেনি স্বামীর সংসার। স্বামী অন্যত্র বিয়ে করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন তাহেরাকে। নিরুপায় হয়ে ঘুড়িদহ ইউনিয়নের খামার পবনতাইড় এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে একটি ছাপড়া ঘর তুলে বসবাস করতে শুরু করেন। জীবিকা নির্বাহের জন্য ভিক্ষাবৃত্তি পেশা বেছে নেন তাহেরা। অভাব-অনটনসহ নানাবিধ কষ্ট বুকে ধারণ করে তিনি বাঁধেই পাড়ি দেন প্রায় ১৬ বছর। এরই মধ্যে গত ৫-৬ মাস আগে বাঁধটি সংস্কারের জন্য গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড বাঁধের সকল বাড়ি-ঘর উচ্ছেদ করে। এ সময় তাহেরা বেগমের ঘরটিও উচ্ছেদ করা হয়। 

এরপর স্থানীয় একজনের কাছে অনুরোধের পর কিছুদিনের জন্য ঠাঁই নেন এই বাঁশঝাড়ে। সেখানে জনমানবহীন স্থানে একা ঘরে ভয়-শঙ্কা নিয়ে বসবাস করছেন তিনি। এ দিকে ৫ মাস অতিবাহিত হতে না হতেই জায়গা থেকে সরে যাওয়ার চাপ সৃষ্টি করছেন জায়গাটির মালিক। 

তাহেরা বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর, জায়গা-জমি ও বাড়ি-ঘর আছে এমন মানুষকে দেওয়া হইছে। অথচ আমার মতো হতভাগীর ভাগ্যে একটা ঘর জোটে না। আমি একটা ঘরের জন্য চেয়ারম্যান, মেম্বারদের কাছে গেছি কিন্তু কোনো কাজ হয় নাই। পরে ইউএনও স্যারের কাছে কয়বার ঘরের জন্য আবেদন করছি। তিনি দিবে বলছেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত আমি ঘর পাইনেই।’ 

তাহেরা আরও বলেন, ‘আমার স্বামী থাকিও নাই। ১৫ বছর ধরি ভরন-পোষণ দেয় না। কখনো মাইনসের বাসাত কাজ করি, কখনো ভিক্ষা করি কোনোরকমে বাঁচি আছি। মেলা অসুখও শরীরে। এখন আর ঠিকমতো কাজও করতে পারি না। সরকারের কাছে একটা ঘরে দাবি জানাই। 

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনিসুর রহমান (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নতুন করে সরকারি ঘর নির্মাণকাজ চলছে। কাজ সম্পন্ন হলে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মধ্যে ঘরগুলো বরাদ্দ দেওয়া হবে। তখন আবেদন পেলে দেওয়া যাবে।’ 

শ্লীলতাহানির অভিযোগে করা মামলায় স্কুলশিক্ষক গ্রেপ্তার

গাইবান্ধায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ নেতার ওপর হামলা

খানসামায় বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে ক্লাস নিলেন ইউএনও

বিএনপির নেতার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে ফুলবাড়ীতে বিক্ষোভ

হাবিপ্রবিতে ৫ কর্মকর্তা-শিক্ষার্থীকে পুলিশে দিলেন বৈষম্যবিরোধীরা

মধ‍্যরাতের সংবাদ সম্মেলনই বলে দেয় অবস্থা কতটা ভয়াবহ: দুদু

রংপুরে হেজবুত তাওহীদ ও স্থানীয় জনতার সংঘর্ষ-আগুন, নেতৃত্বে আ. লীগ নেতা

স্কুল থেকে বিদায়ের আগের দিনেই চিরবিদায়

বৃদ্ধাকে এসিড নিক্ষেপের অভিযোগ, পুলিশ বলছে ‘সন্দেহজনক’

২০০ বছরের মাঠ কেটে পুকুর, উজাড় গাছও