পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় কলেজছাত্রীকে (১৯) পালাক্রমে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে গতকাল শুক্রবার ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুন-নবী তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসামিদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি ওই কলেজছাত্রীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন-হাতীবান্ধা উপজেলার দক্ষিণ গোতামারী এলাকার আব্দুল সাত্তার (৩২), দইখাওয়া বাজার এলাকার রোকন মিয়া (৩০), একই এলাকার রাকিবুল ইসলাম (১৯) আল আমিন (১৯), রতন মিয়া সাবু (২৮) ও নওদাবাস এলাকার সুলতান আহমেদ (৪০)।
পুলিশ জানান, উপজেলার উত্তর গোতামারী এলাকার ওই কলেজছাত্রীকে সঙ্গে দক্ষিণ গোতামারী এলাকার আব্দুস সাত্তারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ এবং গোপনে ভিডিও ধারণ করে আব্দুস সাত্তার। ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে সাত্তার ও তার আরেক বন্ধু ধর্ষণ করে।
এরপর গত বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) ওই ছাত্রীকে উপজেলার নওদাবাস ইউনিয়নের শালবনে নিয়ে যায় সাত্তার। সেখানে সাত্তার ও তার বন্ধুরা পালক্রমে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও করে। এ সময় ভুক্তভোগী অসুস্থ হলে সবাই পালিয়ে যায়।
পরদিন শুক্রবার (৪ অক্টোবর) রাতে ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে হাতীবান্ধা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলা আমলে নিয়ে থানা-পুলিশ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে।