নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
সারা দেশের অন্য নগর ভবনগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে সিলেটের সঙ্গে চরম বৈষম্য করা হচ্ছে। অর্থ বরাদ্দ না থাকার কারণে ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ছাড়পত্র না দেওয়ায় মহানগরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প আটকে আছে। ‘সিলেটে ঘন ঘন ভূমিকম্প; দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষমতা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরীর সিসিক মেয়র হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ৭ নভেম্বর। গত ২১ জুন অনুষ্ঠিত সিটি নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তে তিনি অংশ নেননি। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী মেয়র নির্বাচিত হন।
গতকালের সংবাদ সম্মেলনে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, বিশেষজ্ঞদের মতে সারা দেশের মধ্যে সিলেট ভূমিকম্পের ডেঞ্জার জোনে রয়েছে। গত বছর এক সপ্তাহের মধ্যেই সাত-আটবার ভূমিকম্প হয়। সবার মনে ভয় ধরিয়ে দিয়েছে। এই অঞ্চলে বড় ভূমিকম্পের শঙ্কা রয়েছে দাবি বিশেষজ্ঞদের। এমন পরিস্থিতির যদি সৃষ্টি হয় তবে যাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমানো যায় সে লক্ষ্যে তাঁরা কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। এ বিষয়ে যা যা করার সবকিছু প্রস্তুত করে প্রপোজাল পাঠানো হয়েছে। কিন্তু সেটাও অর্থ মন্ত্রণালয়ে আটকে আছে। সংশ্লিষ্টরা এ ব্যাপারে উদাসীন।
মেয়র আরিফুল আরও বলেন, ‘নগরবাসীর জন্য ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা করতে পারছে না সিসিক। এর পেছনে দায় নগর ভবনের নয়। নগর ভবন যা যা করার সব প্রস্তুত করে আজ থেকে চার বছর আগে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের জন্য প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। জমি অধিগ্রহণসহ সব কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন শুধু একনেকে উঠবে। অনুমোদন হবে। কিন্তু এটা দীর্ঘসূত্রতার বেড়াজালে পড়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর কাছেও গিয়েছি। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর জোরালো অনুরোধের পরও ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট আটকে আছে।’
সিসিক মেয়র বলেন, বর্তমানে সবকিছুর দামই আকাশছোঁয়া। বেড়েই চলেছে। আগে যেটা ১০ টাকা ছিল, সেটা এখন ৯০ টাকা। আগে যে প্রকল্প ব্যয় ৫ হাজার কোটি টাকা ছিল, এখন সেটা গিয়ে ১৫ হাজার কোটিতেও সংকুলান করা যাবে কি না সন্দেহ আছে! এর মধ্যে যদি ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয় আসে, তখন তো বিশুদ্ধ পানির অভাবে মানুষের প্রাণ যাবে। এদিকে দায়িত্বশীলদের দ্রুত দৃষ্টি দিতে হবে।