নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে রাষ্ট্র সংস্কার ও দুর্নীতি দমনে ১৫টি প্রস্তাবসংবলিত স্মারকলিপি পেশ করেছে দুর্নীতি মুক্তকরণ বাংলাদেশ ফোরাম।
আজ মঙ্গলবার ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদের মাধ্যমে এই স্মারকলিপি পেশ করেন। এতে বলা হয়, দাবিগুলো দেশ ও জনগণের স্বার্থে দ্রুত বাস্তবায়ন করলে ছাত্র-জনতার আন্দোলন সফল ও অমর হয়ে থাকবে। নেতৃবৃন্দ মনে করেন, তাঁদের দেওয়া প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন করলে দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করা সম্ভব হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফোরামের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জননেতা মকসুদ হোসেন, উপদেষ্টা নেছারুল হক চৌধুরী বুস্তান স্যার, সিনিয়র সহসভাপতি ইকবাল হোসেন চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. অরুণ কুমার দেব, সিনিয়র সদস্য সরোজ ভট্টাচার্য্য, আব্দুল মুতাওয়ালী ফলিক, সাংবাদিক শহিদ আহমদ খান সাবের, যুব ফোরামের সভাপতি মো. ইমাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব ইকবাল মুন্না।
রাষ্ট্র সংস্কার ও দুর্নীতি দমনে দুর্নীতি মুক্তকরণ বাংলাদেশ ফোরামের ১৫ দফার মধ্যে রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, এমপিসহ সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দুর্নীতি বন্ধে ও রাষ্ট্রের শীর্ষ থেকে সবাইকে জবাবদিহির আওতায় আনতে শক্তিশালী ন্যায়পাল গঠনের পাশাপাশি আর্থিক জোগান নিশ্চিত করা; তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ ২ বছর এবং নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ ৬ বছর করা; স্বাধীন নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করা, ব্যালট পেপারে ‘না’ ভোটের অপশন চালু করা এবং ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা; ঋণ রিশিডিউল প্রক্রিয়া রহিত করে দুর্নীতি, ঋণখেলাপি ও খুনের দায়ে অভিযুক্তদের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থিতা অযোগ্য ঘোষণা করা; সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তির হিসাব প্রতিবছর দাখিলের বিধান কার্যকর করা; স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন ও স্বাধীন নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগ পৃথক্করণের পদক্ষেপ হিসেবে বিচার বিভাগীয় সচিবালয় প্রতিষ্ঠা করা; সরকারি হাসপাতালগুলোয় মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার ও সুচিকিৎসা নিশ্চিতের লক্ষ্যে চিকিৎসক ও কর্মচারীদের সংগঠনগুলো জনস্বার্থে বিলুপ্ত করা এবং সরকারি হাসপাতাল বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবার মূল্যতালিকা কার্যকর, ওষুধের দাম কমানো, সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ফি ৩০০ টাকা নির্ধারণ; বাজার সিন্ডিকেটকে শায়েস্তা করতে সরকারি প্রতিযোগিতা কমিশনকে শক্তিশালী করা; দুর্নীতির সর্বোচ্চ শাস্তি আমৃত্যু কারাদণ্ডের বিধান, অভিযুক্তদের বিষয়-সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা; ফৌজদারি অপরাধ মামলার তদন্তভার ও বিচারকাজ পরিচালনার দায়িত্বভার সুপ্রিম কোর্টের নিয়ন্ত্রণে দেওয়া; দুর্নীতি ও আর্থিক কেলেঙ্কারির আলোচিত ঘটনাগুলোর মামলার দ্রুত রায় নিশ্চিত করা ও বিষয়-সম্পত্তি বাজেয়াপ্তসহ অবৈধ অর্থ উদ্ধারের ব্যবস্থা করা; প্রশাসন বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্যে প্রতিটি বিভাগীয় শহরে হাইকোর্ট বেঞ্চ স্থাপন; স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন।