সিলেটের বিরতি ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরণে দগ্ধ ৯ জনের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নজরুল ইসলাম মোহিন (৪৭) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল পাঁচজনে। বর্তমানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন আরও চারজন।
গতকাল বুধবার রাত দেড়টার দিকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নজরুল ইসলাম মারা যান। তিনি ওই ফিলিং স্টেশনের ব্যবস্থাপক ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নজরুল ইসলাম মোহিনের পরিবারের ঘনিষ্ঠজন অ্যাডভোকেট আবদুল মুকিত অপি। তিনি বলেন, তাঁর লাশ আজ বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে সিলেটে নিয়ে আসার জন্য রওয়ানা দেবে। আগামীকাল শুক্রবার বাদ জুমা জালালাবাদ জামে মসজিদে জানাজা শেষে দাফন করা হবে।
নজরুল ইসলাম মোহিন সিলেট নগরের পশ্চিম পীরমহল্লার ঐক্যাতন ২১৫ / ৩ এলাকার মৃত মুজিবুর রহমানের ছেলে।
এর আগে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেট বিমানবন্দর থানার কোরবানটিলা এলাকার বাসিন্দা রুমেল সিদ্দিক ও পরদিন বিকেলে টুকেরবাজার এলাকার ইমন আহমদ (৩২) মারা যান। এর পর গত ১৭ ও ১৮ সেপ্টেম্বর পৃথক সময়ে সিলেট সদর উপজেলার জাঙ্গাঈল গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে তারেক আহমদ (৩২) ও সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার কাদিরগাঁও গ্রামের বাদল দাস (৪২) মারা যান।
গত ৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে নগরের ওই ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে নয়জন দগ্ধ হন। তৎক্ষণাৎ আহতদের উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন ৬ সেপ্টেম্বর দগ্ধ ৯ জনকে ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়। অগ্নিদগ্ধদের শরীরের ১৫-৪০ ভাগ পর্যন্ত পুড়ে গেছে বলে জানান চিকিৎসকেরা।