মাধবপুর (হবিগঞ্জ): হবিগঞ্জের মাধবপুর পৌরহাটে কাঁঠালের চাহিদা বেশি থাকায় ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম পদ্ধতিতে কাঁঠাল পাকাচ্ছেন। এ জন্য কাঁঠালের ভেতরে দেওয়া হচ্ছে রাসায়নিক দ্রব্য।
জানা যায়, দেশের দূর দুরান্ত থেকে কাঁচা কাঁঠাল কিনে নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা নিয়ে আসে এ হাটে। এ ছাড়াও মাধবপুর উপজেলার পূর্বাঞ্চল এলাকাগুলোতে কাঁঠালের ভালো ফলন হয়। এগুলো কাচাই কিনে নেন ব্যবসায়ীরা। পরে বিষাক্ত রাসায়নিক প্রয়োগ করে কাঁঠাল পাকানো হচ্ছে। ফলে ঘাটাইলসহ মধুপুর গড় এলাকায় উৎপাদিত কাঁঠাল তার সুনাম খোয়াতে বসেছে। পাশাপাশি কাঁঠালের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কৃষক।
উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে গিয়ে দেখা যায়, দ্রুত কাঁঠাল পাকাতে শিকমারা পদ্ধতিতে কাঁঠালে রাইপেন ও ইথিফন জাতীয় বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ প্রয়োগ করছে। অথচ সরকারিভাবে এসব রাসায়নিক বিক্রি নিষিদ্ধ।
নাম না প্রকাশের শর্তে একজন বলেন, 'অসাধু ব্যবসায়ীরা অপরিপক্ব কাঁঠাল পাকাতে কার্বনের ধোঁয়া, পটাশের তরল দ্রবণ, রাইপেন ও ইথিফন জাতীয় বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ প্রয়োগ করছে। স্থানীয় ভাষায় শিকমারা পদ্ধতিতে কাঁঠালে এসব বিষাক্ত রাসায়নিক প্রয়োগ করা হয়।
শিকমারা পদ্ধতি সম্পর্কে স্থানীয় কাঁঠাল ব্যবসায়ীরা বলেন, প্রথমে প্রায় দেড় ফুট লম্বা লোহার শিক কাঁঠালের বোঁটা বরাবর ঢুকিয়ে দিয়ে ছিদ্র করা হয়। পরে ছিদ্রপথে সিরিঞ্জ দিয়ে বিষাক্ত কার্বাইড, ইথিফন ও রাইপেন জাতীয় পদার্থ প্রয়োগ করা হয়। তারপর কাঁঠালগুলো স্তূপাকারে সাজিয়ে পলিথিন দিয়ে মুড়িয়ে রাখা হয়। এ অবস্থায় ২৪ ঘণ্টায় একটি কচি কাঁঠাল পেকে যায়। এ ছাড়া মেশিনে স্প্রে করেও বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ প্রয়োগ করে থাকে কেউ কেউ।
মাধবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আল মামুন হাছান বলেন, 'কৃত্রিম পদ্ধতিতে এসবের কারণে কাঁঠালের গুণগত মান হ্রাস পাচ্ছে। এতে মানবদেহে বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি হতে পারে। যারা এসব পদ্ধতি ব্যবহার করে তাঁদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।'