শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কিশোর রায় চৌধুরী মনি পদত্যাগ করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হলরুমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে তিনি পদত্যাগ করেন।
লিখিত একটি চিঠিতে কিশোর রায় চৌধুরী মনি বলেন, ‘আমি কিশোর রায় চৌধুরী মনি। চেয়ারম্যান, জুড়ী উপজেলা পরিষদ। আজ ১৫/০৮/২০২৪ ইং পদত্যাগ করলাম। ১৮/০৮/২০২৪ ইং অফিশিয়ালভাবে পদত্যাগপত্র জমা দেব।’
জুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বাবলু সূত্রধর বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ এসেছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে সঙ্গে নিয়ে। একই সঙ্গে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এসেছিলেন। জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার উপস্থিত ছিলেন।
বাবলু সূত্রধর বলেন, শিক্ষার্থীদের বক্তব্য ছিল, উপজেলা চেয়ারম্যান পদত্যাগপত্র দেবেন। চেয়ারম্যান দুই দিনের সময় চেয়েছেন অফিশিয়ালি পদত্যাগের জন্য। আপাতত তিনি তাঁদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে লিখিতভাবে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ‘তাঁর লিখিত বক্তব্য অনুযায়ী তিনি আজ বৃহস্পতিবার পদত্যাগ করেছেন।’
উল্লেখ্য, গত ৩ আগস্ট জুড়ীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা মিছিলের শেষ দিকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান। হামলায় আহত হন কয়েকজন শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় উপজেলা চেয়ারম্যান কিশোর রায় চৌধুরী মনি নীরব ভূমিকা পালন করেন। কিন্তু পরদিন ৪ আগস্ট আক্রমণকারীদের সঙ্গে নিয়েই জুড়ীতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদেরসহ মিছিল এবং শিক্ষার্থী ও কেউ আন্দোলনের প্রস্তুতি নিলে প্রতিহত করতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অবস্থান করেন জুড়ীতে। তাতে নেতৃত্ব দেন উপজেলা চেয়ারম্যান কিশোর রায় চৌধুরী মনি ও ভাইস চেয়ারম্যান জুয়েল আহমেদ ওরফে জুয়েল রানা।