গোয়াইনঘাট (সিলেট) প্রতিনিধি
পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিতে পর্যটকের ঢল নেমেছে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে। আর এতে যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে উপজেলার সব কটি পর্যটনকেন্দ্র। আজ শুক্রবার ঈদের প্রথম দিন থেকেই উপজেলার বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে ভিড় দেখা গেছে ভ্রমণপ্রিয়দের।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে মেঘ-পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করছেন দর্শনার্থীরা। উপজেলার জাফলং, বিছনাকান্দি, সোয়াম ফরেস্ট রাতারগুল ছাড়াও পানতুমাই ঝরনা, জাফলং চা বাগান ও মায়াবী ঝরনা পর্যটকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
পর্যটকদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, পাহাড়, পাথর আর স্বচ্ছ জলের সমাহার দেখে তাঁরা বিমোহিত হয়েছেন। পরিবার-পরিজন বা বন্ধুবান্ধব নিয়ে তারা এসেছেন প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে।
তবে সবচেয়ে বেশি পর্যটকের ভিড় ছিল জাফলংয়ে, যাঁদের বেশির ভাগ দর্শনার্থীই ছিলেন তরুণ-তরুণী।
জাফলংয়ে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই এখানে দল বেঁধে পর্যটকেরা ঘুরতে এসেছেন। নদীতে নেমে কেউ কেউ গোসল করতে ব্যস্ত। আর নৌকা পার হয়ে অনেকের গন্তব্য মায়াবী ঝরনা, খাসিয়া পল্লি ও চা-বাগানে। বেলা বাড়ার সঙ্গে দর্শনার্থীদের সংখ্যাও বাড়তে থাকে।
পর্যটক রফিক ও সুজন আহমেদ বলেন, ঈদের ছুটিতে পরিবারের সদস্যরা মিলে ঘুরতে এসেছেন। জাফলং ভীষণ ভালো লেগেছে তাঁদের। পাহাড় আর পাথরের সৌন্দর্য তাঁদের মুগ্ধ করেছে। তবে বৃষ্টিতে একটু ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।
এদিকে পর্যটকদের চাপে এখানকার হোটেল-মোটেলগুলোতে কোনো কক্ষ খালি ছিল না। ব্যস্ততা দেখা গেছে রেস্টুরেন্টগুলোতেও। পর্যটকের সমাগমে খুশি এখানকার পর্যটন ব্যবসায়ীরাও।
জাফলং পর্যটনকেন্দ্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হোসেন মিয়া বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে জাফলংয়ে অনেক পর্যটক বেড়াতে এসেছেন। ব্যবসায়ীদের বেচাকেনাও ভালো হয়েছে। কাল থেকে পর্যটকের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশা করছি।’
পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে টুরিস্ট পুলিশ, থানা-পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে জাফলং টুরিস্ট পুলিশের ইনচার্জ মো. রতন শেখ বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে সকাল থেকেই পর্যটকে মুখরিত ছিল জাফলং। আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় টুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা কাজ করছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ছাড়া পর্যটকেরা বেড়াতে এসে যাতে কোনোভাবেই ভোগান্তিতে না পড়েন, সেদিকে আমাদের নজর রয়েছে।’