হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে ফেসবুকে উসকানি দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ৪০ জন নারী-পুরুষ আহত হয়েছেন। আজ শনিবার সকালে উপজেলার পশ্চিমভাগ গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার পশ্চিমভাগ গ্রামে ফেসবুকে উসকানি দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে নারী, পুরুষসহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ছানু মিয়া (৪০), ধনু মিয়া (৫২), মুহিত মিয়া (৬০) ও রেণু মিয়াকে (৪২) সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্য আহতদের উদ্ধার করে বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আজ সকালে পশ্চিমভাগ গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুপক্ষে বিরোধ চলছিল। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ধনু মিয়ার ছেলে রনি মিয়া তাঁর নিজের ফেসবুক আইডিতে লাইভে এসে তৈয়ব আলীর ছেলে খলিল মিয়াকে নিয়ে উসকানিমূলক ও অশালীন কথাবার্তা বলেন। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সন্ধ্যায় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এরই জেরে আজ সকালে তাঁরা আবারও সংঘর্ষে জড়ান। তাতে নারী-পুরুষসহ অন্তত ৪০ জন আহত হন।
গুরুতর আহতদের মধ্যে রয়েছেন রূপালী আক্তার (১৫), আশরাফুল আলম (২০), সালেক আহমদ (২৮), ইমরান মিয়া (২৩), আশাদুল (২০), রাসেল মিয়া (২৭), জুয়েল মিয়া (২৫), নুর মিয়া (৪৫), ইমন মিয়া (২৫), কালাম মিয়া (৪০), আব্দুস সহিদ (৭০), আলী হোসেন (৩৫), রফিক মিয়া (২০), হৃদয় মিয়া (২২), সাদেকুর মিয়া (২৪), ধলাই মিয়া (৫০), আব্দুস সালাম (৪০), রাসেল মিয়া (৩৮), ওয়াহিদ মিয়া (৬০), খুর্শেদ মিয়া (২২), মোস্তাকিম (৪২), রহিমা বেগম (৫০), সুবেল মিয়া (২০) ও রুবেল মিয়া (৩০)। তাঁদের হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক সায়েমা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, আজমিরীগঞ্জের পশ্চিমভাগ থেকে মারামারি করে অন্তত ৪০ জন আহত হয়ে হাসপাতালে এসেছেন। তাঁদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজন। তাঁদের সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিবপাশা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ফেসবুকে লাইভ দেওয়া নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।