Ajker Patrika
হোম > সারা দেশ > সিলেট

আগামীকাল সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে ১৪৯টি কেন্দ্রে হবে ভোট গ্রহণ

প্রতিনিধি, সিলেট

আগামীকাল সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে ১৪৯টি কেন্দ্রে হবে ভোট গ্রহণ

আগামীকাল শনিবার সিলেট-৩ আসনের (দক্ষিণ সুরমা-ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ) উপনির্বাচনে ভোটের লড়াই হবে। প্রতিদ্বন্দ্বী চার প্রার্থীর মধ্যে একজন শুরু থেকেই নীরব রয়েছে। অপর তিনপ্রার্থীর মধ্যেই মূল লড়াই হবে বলে মনে করছেন এলাকার ভোটাররা। তিন উপজেলার ১৪৯টি কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করা হবে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে সব প্রস্তুতি নিয়েছে সিলেটের প্রশাসন।

তবে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে কিছু এলাকার ভোটার ও প্রার্থীদের মনে শঙ্কাও রয়েছে। প্রতিপক্ষ প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরা কেন্দ্র দখল, প্রার্থীদের ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা দেওয়াসহ বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারেন বলে শঙ্কা করছেন তাঁরা। তবে প্রশাসনের নিরপেক্ষ ভূমিকা থাকলে প্রত্যেক প্রার্থীই নিজের জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। 

জানা গেছে, নির্বাচন নিয়ে তেমন আগ্রহ নেই ভোটারদের। বিগত দুটি সংসদ নির্বাচনে ভোট নিয়ে ভোটারদের অভিজ্ঞতা ভালো ছিল না। দুই জাতীয় নির্বাচনেই ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি ছিল অনেক কম। তাই উপনির্বাচনে আগ্রহ আরও কম রয়েছে। এ ছাড়া বিএনপিসহ বড় কয়েকটি রাজনৈতিক দল ভোটে অংশ নিচ্ছে না। ফলে সাধারণ মানুষ এই নির্বাচন নিয়ে তেমন আগ্রহী নয়। 

সিলেটের দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট-৩ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৫২ হাজার। আর কেন্দ্রে সংখ্যা ১৪৯ টি। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান, জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শফি আহমেদ চৌধুরী। 

ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে হাজির করতে কেন্দ্রভিত্তিক আলাদা আলাদা কমিটি করেছে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি। তাঁরা ভোটের দিন ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে নিয়ে আসতে কাজ করবেন। তবে বিএনপি নির্বাচনে না থাকায় এ ক্ষেত্রে কিছুটা পিছিয়ে আছেন দল থেকে বহিষ্কৃত শফি আহমদ চৌধুরী। ব্যক্তি ইমেজই তাঁর একমাত্র ভরসা। 

স্থানীয়রা মনে করছেন, ভোটারদের কেন্দ্রে উপস্থিত করানোই হবে প্রার্থীদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। যে প্রার্থী নিজের বেশিসংখ্যক ভোটারদের কেন্দ্রে হাজির করাতে পারবেন ভোটের লড়াইয়ে তিনি এগিয়ে যাবেন। 

বালাগঞ্জের দেওয়ানবাজার ইউনিয়নের ভোটার আব্দুস সামাদ বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে এলাকায় প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। কিন্তু ভোটাররা তেমন আগ্রহী নন। এই ভোট নিয়ে মাতামাতিও কম। তবে এমনও হতে পারে তাঁরা এখন নীরব আছেন। কিন্তু ভোটের দিন ঠিকই ভোটকেন্দ্রে যাবেন। 

আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে বিপুল উৎসাহ রয়েছে। ভোটের পরিবেশও খুব ভালো। গণসংযোগে গিয়ে মানুষের সাড়া পেয়েছি। ভোটের দিনও তা অব্যাহত থাকবে। 

জাতীয় পার্টির প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিক বলেন, মানুষের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ আছে। তাঁর ভোট দিতে চায়। ভোটারদের মধ্যে আস্থা তৈরি করতে দায়িত্ব নিতে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনকে হবে। 

স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রার্থী শফি আহমদ চৌধুরী বলেন, উপযুক্ত পরিবেশ পেলে ভোটাররা অবশ্যই ভোটকেন্দ্রে আসবেন। মানুষ তাঁদের রায় জানাতে চায়। কিন্তু মানুষ যদি দেখে ভোট দিলেও কোনো লাভ হবে না। তাঁদের রায় ছিনিয়ে নেওয়া হবে তাহলে আর ভোটাররা কেন্দ্রে আসবেন না। সব শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আশা করছে নির্বাচন কমিশন। 

সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সল কাদের বলেন, ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে আসতে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভোটের দিন কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলা। ভোটকেন্দ্রে থাকবে পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশের ১৭ থেকে ১৮ জন সদস্য। আর ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে নিয়োজিত থাকবে ১৮ থেকে ১৯ জন সদস্য। এদের মধ্যে পুলিশ আর অঙ্গীভূত আনসার সদস্যের কাছে অস্ত্র থাকবে। এ ছাড়া থাকবে বিজিবি ও র‍্যাবের টহল। পাশাপাশি দায়িত্ব পালন করবে নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরা। 

এমসি কলেজের টিলায় আগুন, পুড়ল গাছপালা

শাবিপ্রবির গবেষণা: ৩২.৭ শতাংশ শিশুর বয়সের তুলনায় উচ্চতা কম

মাদক সেবনকালে আ.লীগের ৩ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার

সপ্তাহের ব্যবধানে ফের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল সিলেট

চর কেটে মাটি বিক্রি, অভিযানে ৩ ট্রাক জব্দ

নবীগঞ্জে পুলিশের অভিযানে ৭ ডাকাতি মামলার আসামি গ্রেপ্তার

সুনামগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক

সংস্কার হয়নি সড়ক, ফসল ডোবার শঙ্কা

মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করায় জরিমানা, ক্যাব সভাপতির বাসায় হামলা

সিলেটে গাছ সুরক্ষায় মাসব্যাপী পেরেক অপসারণ কর্মসূচি শুরু