নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সনদ ছাড়া আজ বুধবার থেকে ট্রেনের টিকিট কাটা যাবে না। সারা দেশের মতো সিলেটেও এ নতুন নিয়ম চালু হয়েছে। আজ প্রথম দিন এ নিয়মে টিকিট কাটতে এসে জাতীয় পরিচয়পত্র না আনায় অনেক যাত্রী পড়েছেন বিপাকে।
সরেজমিন আজ বেলা সাড়ে ১১টায় সিলেট রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, যাত্রীরা টিকিট কাউন্টারে ভিড় করছেন। কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা লোকজন হ্যান্ডমাইকে একটু পরপর বলছেন, জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সনদ ছাড়া কেউ টিকিট কিনতে পারবেন না। আর যাঁরা জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সনদ নিয়ে এসেছেন, তাঁরা অনলাইনে এসএমএস দিয়ে ফিরতি এসএমএস আসার পর লাইনে দাঁড়ান। এ সময় যাত্রীরা ভোটার আইডি নিয়ে মোবাইল ফোনে এসএমএস আসার পর টিকিট কিনতে দেখা যায়।
তবে প্রথম দিন হওয়ায় অনেকে ভুলে ভোটার আইডি নিয়ে না আসায় ফেরতও যান। যাত্রীদের সুবিধার জন্য সিলেট রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ টিকিট কাউন্টারের সামনে ঝুলিয়ে রেখেছেন টিকিট কাটার নিয়ম।
সিলেট রেলস্টেশনে টিকিট কাটতে আসা হানিফা বেগম জানান, তিনি ৪ মার্চের ঢাকার ট্রেনের টিকিট কাটতে এসেছেন। তবে আইডি কার্ড না আনায় বাইরে গিয়ে আইডি নম্বর দিয়ে মোবাইল ফোনে এসএমএস পাঠাবেন। ফিরতি এসএমএস এলে মোবাইল ফোন নম্বর দিয়ে টিকিট ক্রয় করবেন। এটা তাঁকে টিকিট বিক্রির দায়িত্বে থাকা লোকজন বলে দিয়েছেন।
একই সময়ে সিলেট রেলস্টেশনে টিকিট কেটেছেন হুমায়ূন মিয়া নামে এক যুবক। তিনি জানান, টিকিট কাটতে এসে প্রথমে দায়িত্বে থাকা লোকজনের কাছে জেনে নিয়েছেন কীভাবে কাটাতে হবে। দায়িত্বে থাকা লোকজন তাঁকে কাউন্টারের সামনে রাখা ব্যানারটি দেখিয়ে দেন। তারপর নিজের মোবাইল ফোন থেকে এসএমএস দিয়ে টিকিট পেয়েছেন।
তবে এই নতুন নিয়মে টিকিট কাটতে একটু বেগ পেতে হচ্ছে, তবু যদি এভাবে সব সময় টিকিট মিলে তাহলে ভালো। তবে এর মাধ্যমে টিকিট কালোবাজারি বন্ধ হবে বলে তাঁর ধারণা।
আবদুল মান্নান নামে আরেক যাত্রী জানান, ভোটার আইডি না আনায় তিনি ফিরে যাচ্ছেন বাসায়। বিকেলে আইডি কার্ড নিয়ে এসে টিকিট কাটবেন।
সিলেট রেলস্টেশন ম্যানেজার মো. নুরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ থেকে সিলেটসহ সারা দেশে জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। এ জন্য যাত্রীদের অ্যাকাউন্ট খুলতে হচ্ছে অনলাইনে। অপারেটররা জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই-বাছাই করে টিকিট বিক্রি করছেন। আমরা গত মাসের ২৫ তারিখ থেকে নতুন নিয়মে টিকিট কাটার প্রচারপত্র রেলস্টেশনে লাগিয়ে রেখেছি।’