হোম > সারা দেশ > সিলেট

উপজেলা নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থীর বাড়িতে হামলার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরে পরাজিত প্রার্থীর বাড়িতে হামলার ঘটনায় প্রতিবাদ কর্মসূচি হয়েছে সিলেটে। গতকাল সোমবার বিকেলে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ কর্মসূচি হয়। এ সময় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শেষে হামলা, তাণ্ডবের পাশাপাশি প্রশাসনকে অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি তোলা হয়। একই সঙ্গে হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারেরও দাবি জানানো হয়।

এর আগে গত ৫ জুন মধ্যনগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পরদিন ৬ জুন নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী সাইদুর রহমানের বাড়িতে সশস্ত্র হামলা চালানো হয়। এতে সাইদুরসহ তাঁর পরিবারের সাত সদস্য আহত হন। আহতদের চিকিৎসা গ্রহণেও বাধা দেওয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে, নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী প্রার্থী আবদুর রাজ্জাক ভুঁইয়ার স্বজন ও অনুসারীরা এই হামলা চালায়। এই হামলা ও পরবর্তী বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে সোমবার সিলেটে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে ‘সংক্ষুব্ধ নাগরিক আন্দোলন, সিলেট’।

সাবেক ছাত্রনেতা প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমান চৌধুরী ওয়েছেরের সভাপতিত্বে ও দেবাশীষ দেবুর সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে স্বাগত বক্তব্যে ‘সংক্ষুব্ধ নাগরিক আন্দোলন, সিলেট’-এর সমন্বয়ক আব্দুল করিম কিম বলেন, ৬ জুন মধ্যনগরে মধ্যযুগীয় বর্বরতা চালানো হয়েছে। নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীর অনুসারীরা দলবল নিয়ে পরাজিত প্রার্থীর বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। হামলা করেই তারা ক্ষান্ত হয়নি, আহতদের চিকিৎসা নিতেও বাধা দিয়েছে। এমনকি সাইদুর রহমানের স্বজনদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এলাকায় প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। এতে তারা মামলাও করতে পারছে না।

কিম বলেন, সাইদুর রহমানের জামাতা দ্বোহা চৌধুরী সিলেটের প্রতিশ্রুতিশীল সাংবাদিক। যিনি সততার সঙ্গে সিলেটে দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিকতা করে সুনাম অর্জন করেছেন। শ্বশুরের নির্বাচন দেখতে তিনিও মধ্যনগরে গিয়েছিলেন। নির্বাচনের আগে নানা অনিয়মের চিত্র তুলে ধরে তার পত্রিকায়ও রিপোর্ট করেন। এসব কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থকেরা দ্বোহা চৌধুরী এবং তাঁর স্ত্রী-সন্তানদেরও ওই দিন জিম্মি করে রাখে। সব মিলিয়ে তারা মধ্যনগরে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে।

এসব ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করে কিম আরও বলেন, উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী আবদুর রাজ্জাক ভুঁইয়ার ভাই পুলিশের একজন বড় কর্মকর্তা। অভিযোগ রয়েছে, ওই পুলিশ কর্মকর্তার কারণেই রাজ্জাকের অনুসারীরা এমন নৃশংস হামলা চালিয়েও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। উল্টো হামলায় আহতদের পুলিশ দিয়ে হয়রানি করছেন। বাড়িঘরে যেতে দিচ্ছেন না। 

তিনি বলেন, পুলিশের ভাবমূর্তি’র স্বার্থেই এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা প্রয়োজন। একই সঙ্গে আক্রান্ত পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি।

এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মধ্যনগর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী আরেক প্রার্থী সজল কান্তি সরকার, ওই এলাকার বাসিন্দা বাদল চন্দ্র সরকার, সাংবাদিক উজ্জ্বল মেহেদী, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, সিলেটের সভাপতি সজল ছত্রী, সাবেক সভাপতি আশরাফুল কবির, সাধারণ সম্পাদক শ্যামানন্দ দাশ, সিলেট ভয়েসের প্রকাশক সেলিনা হোসেন চৌধুরী, পরিবেশকর্মী রেজাউল কিবরিয়া, রুমেনা বেগম রুজি, সৈয়দ আনসার আলী, সংস্কৃতিকর্মী মাহবুব রাসেল, নাহিদ পারভেজ বাবু, বিমান তালুকদার, যুব ইউনিয়ন সিলেটের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান,  সাবেক ছাত্রনেতা সহিদুজ্জামান পাপলু, সপ্তর্ষি দাশ, ছাত্র ইউনিয়ন সিলেটের সাধারণ সম্পাদক নাহিদ হাসান প্রান্তিক, ছাত্রফ্রন্ট সিলেটের সাধারণ সম্পাদক বুশরা সুহেল, কবি মেঘদাদ মেঘ প্রমুখ।

সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজিব রাসেল, ইয়াহ্ইয়া মারুফ, বাপ্পা মৈত্র, মামুন হোসেন, আহমেদ জামিল, শাকিলা ববি, নাবিল হোসেন, নয়ন নিমু, আশরাফ আহমদ প্রমুখ।

সিলেটে বিপুল পরিমাণে চোরাচালানের মালামাল জব্দ

সিলেটে ৪০০ বস্তা ভারতীয় চিনিসহ ট্রাকচালক আটক

দেশে অনুপ্রবেশের অভিযোগে ২ ভারতীয় নাগরিক আটক

‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে মামলা-বাণিজ্য

কমলগঞ্জে পাহাড়ি ছড়ায় যুবকের লাশ, শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন

পা পড়ে না চার সেতুতে

এক মাসেও মাটি পড়েনি ফসল রক্ষা বাঁধে

শতাধিক পণ্যে ও সেবায় ভ্যাট বাড়ানোর প্রতিবাদে সিলেটে মশাল মিছিল

হিংসা-বিদ্বেষ সৃষ্টিকারী কেউ যেন আমাদের মাথার ওপর না বসে: ফুলতলীর পীর

গোয়াহরি বিলে পলো বাওয়া উৎসবে মানুষের ঢল

সেকশন