সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে ৯ বছরের এক শিশুকে যৌন নির্যাতনের ঘটনার ৫ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও মামলা করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রাম্য মাতব্বররা বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। গত সোমবার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের পেকপাড়া (আননপাড়া) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিকেলে বোগলাবাজার ইউনিয়নের উত্তর আলম খালি গ্রামের এক দিনমজুরের ৯ বছরের শিশু পুত্র খেলতে গেলে পার্শ্ববর্তী পেকপাড়া (আননপাড়া) গ্রামের বাসিন্দা রাশিদ মিয়ার পুত্র মিজান তাকে ডেকে নিয়ে মাদ্রাসার নির্জন কক্ষে যৌন নির্যাতন করে। এ ঘটনার পর শিশুর পায়ুপথ দিয়ে রক্ত ঝরতে থাকলে এবং শিশু গুরুতর আহত হয়ে পড়লে চিকিৎসার জন্য তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা শেষে সিলেট কোতোয়ালি থানা প্রশাসন তদন্ত রিপোর্ট দোয়ারাবাজার থানার ওসির বরাবরে সিলগালা করে পাঠালে ওই চিঠিও কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়নি।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুর পিতাকে থানা প্রশাসনকে বিষয়টি না জানাতে প্রভাবশালী পক্ষ নানাভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
নির্যাতিত শিশুটির পিতা বলেন, ঘটনার পর আমার ছেলের অবস্থা খারাপ হয়ে গেলে আমি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে অবহিত করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাই। চিকিৎসা শেষে এলাকায় এসে আবারও তাঁদের কাছে গেলে তাঁরা মামলা মোকদ্দমা না করতে বলেন।
শিশুটির পিতা আরও বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান জসিম মাস্টার ১৫ হাজার টাকা নিতে বলেন। কিন্তু আমি টাকা নেয়নি। আমি নিরীহ মানুষ। ঘটনাকারীর পরিবার এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় তাঁদের সঙ্গে মামলা মোকদ্দমা করে পারব না বলেও জানান। তারা আমাকে এখন মামলা না করতে হুমকি দিচ্ছে। ভবিষ্যতে তাঁরা নানাভাবে আমাকে ফাঁসিয়ে দেবে বলে হুমকি দিচ্ছে।
জানতে চাইলে বাংলাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান জসিম মাস্টার বলেন, এ ঘটনা শুনেছি। তবে বাস্তবতা আমার জানা নেই।
দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবদুলাল ধর বলেন, ঘটনাটি জেনেছি। ওসির প্রতিবেদন পাওয়ার পর অভিযুক্ত মিজানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।