সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আবুল হারিছ চৌধুরী যুক্তরাজ্যের একটি হাসপাতালে মারা গেছেন। প্রায় সাড়ে তিন মাস আগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার সকালে বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন হারিছের চাচাতো ভাই ও সিলেট জেলা বিএনপির সহসভাপতি আশিক উদ্দিন চৌধুরী।
আশিক উদ্দিন জানান, যুক্তরাজ্যের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে হারিছ চৌধুরী মারা গেছেন। আগস্ট মাসে হারিছ চৌধুরী লন্ডনে করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাসায় ফেরেন। এর কয়েক দিন পর তাঁর করোনা রিপোর্ট নেগেটিভও আসে। করোনার ধকল সাময়িক কাটিয়ে উঠলেও তাঁর ফুসফুসের মারাত্মক ক্ষতি হওয়ায় ফুসফুসের সংক্রমণ বেড়ে যায়।
আশিক চৌধুরী বলেন, পরবর্তীতে আবারও তাঁর পরিবারের লোকজন তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি হাসপাতালে মারা যান। সে সময় হারিছ চৌধুরীর মৃত্যুর সংবাদটি তাঁর মেয়ে মুন্নু চৌধুরী দেশে জানান।
তিনি জানান, স্ত্রী ও ছেলে-মেয়ে নিয়ে হারিছ চৌধুরী যুক্তরাজ্যে থাকতেন। তাঁর ছেলে জনি চৌধুরী পেট্রোলিয়াম ইঞ্জিনিয়ার। আর মেয়ে মুন্নু চৌধুরী ব্যারিস্টার।
আশিক চৌধুরী জানান, করোনা আক্রান্ত হওয়ার আগে হারিছ চৌধুরী দুই ডোজ করোনার ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন। এরপরও তিনি আক্রান্ত হন। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর তাঁর শরীরের রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে পুরো ফুসফুস সংক্রমিত হয়ে পড়ে। ফলে করোনা নেগেটিভ হওয়ার পরও তিনি ফুসফুস জটিলতায় ভুগছিলেন।
উল্লেখ্য, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ২০১৮ সালে যাবজ্জীবন সাজা হয় হারিছ চৌধুরীর। একই বছর ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হারিছ চৌধুরীকে ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায় হারিছ চৌধুরীর বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। বর্তমানে সেই মামলা বিচারাধীন রয়েছে।