সিলেটের গোলাপগঞ্জ থেকে নিখোঁজ হওয়া দুই মাদ্রাসাছাত্রীকে উদ্ধারের কৃতিত্ব নিয়ে র্যাব-পুলিশ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিজেরা উদ্ধার করেছে বলে দাবি করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৯। তবে পুলিশ বলছে, তারাই ওই দুই মাদ্রাসাছাত্রীকে উদ্ধার করেছে।
র্যাব বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গতকাল বুধবার রাত ১০টার দিকে নগরের দক্ষিণ সুরমার কদমতলী থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত দুই কিশোরী গোলাপগঞ্জের এক মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। গত মঙ্গলবার সকালে সিলেটের গোলাপগঞ্জের খর্দ্দাপাড়া এলাকায় মাদ্রাসায় যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়ে তারা নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে গোলাপগঞ্জ থানায় দুটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। পরে গতকাল রাতে তাদের উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে গোলাপগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসলে মেয়েরা পড়ালেখা করতে আগ্রহী না। তাদের পড়ালেখা করতে ভালো লাগে না। সে জন্য তারা অন্য একজন নারীর মাধ্যমে ঢাকায় গার্মেন্টসে কাজ করার জন্য বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরে ওই নারী তাদের অভিভাবককে ফোন দিয়ে জানান যে তাঁদের মেয়েদের নেওয়ার জন্য। তখন আমরা তাদের অভিভাবকসহ সেখানে গিয়ে তাদের উদ্ধার করি। এ সময় র্যাবও চলে আসে। তখন র্যাব জানায় যে তারা সারা দিন ধরে তাদের (নিখোঁজ মাদ্রাসাছাত্রী) ধরতে অভিযান চালাচ্ছে। সে জন্য তারা তাদের নিয়ে যায় এবং রাতেই থানায় তাদের হস্তান্তর করেছে।’
র্যাবের সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া অফিসার) মো. মশিহুর রহমান সোহেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কাছেও তাদের পরিবার অভিযোগ জানিয়েছিল। আমরা দিনভর তাদের উদ্ধারে অভিযান চালিয়েছি। পরে রাতে কদমতলী থেকে তাদের উদ্ধার করি। এখানে তো এ রকম হওয়ার কথা না। আমরাই তাদের উদ্ধার করে আমাদের অফিসে নিয়ে আসছি এবং রাতেই তাদের থানায় হস্তান্তর করেছি।’
এ বিষয়ে গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাছুদুল আমীন বলেন, ‘আসলে এটা তো ঠিক না। আমার অফিসাররা গিয়ে তাদের উদ্ধার করেছে, আর পথিমধ্যে র্যাব তাদের পেয়ে অফিসারদের কাছ থেকে নিয়ে যায়। পরে এখন শুনি তারা উদ্ধার করেছে বলে আপনাদের কাছে প্রেস রিলিজ পাঠিয়েছে। মেয়ে দুটিকে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’