আজ ১২ ফেব্রুয়ারি। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী শহীদ আবরার ফাহাদের জন্মদিন। ফেনী নদীর পানি ভারতের উত্তোলনের বিরোধিতা করে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করেছিলেন।
তাঁর এই ভারতীয় আগ্রাসনবিরোধী লড়াইয়ের অনুপ্রেরণা জাগ্রত রাখতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) শহীদ আবরার ফাহাদ স্মরণে নির্মিত ‘রুম নম্বর ২০১১’ শর্টফিল্মটি প্রদর্শিত হয়েছে।
আজ বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে বড় পর্দায় শর্টফিল্মটি প্রদর্শিত হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
প্রদর্শনীর আয়োজক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আসাদুল্লাহ আল গালিব বলেন, ‘আবরার ফাহাদ ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রথম শহীদ এবং যে জুলাই আন্দোলন হলো, আমরা মনে করি, ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও আওয়ামী ফ্যাসিবাদ—দুটোর একই সঙ্গে পতন হয়েছে। যা শুরু হয়েছিল আবরার ফাহাদের শহীদ হওয়ার মধ্য দিয়ে। যেই আন্দোলন শুরু করেছিল আবরার ফাহাদ।’
আসাদুল্লাহ আল গালিব আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি যে আমাদের আগামীর গণতান্ত্রিক সংগ্রাম, নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন, আর যে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপের কথা বলছি, এটা আবরাব ফাহাদেরই আত্মত্যাগ। তার যে লড়াই, সেটি জারি রাখতে হবে। তাঁর চেতনা আমাদের মধ্যে উপস্থিত থাকতে হবে। সেই লক্ষ্যে আমাদের আজকের এই আয়োজন।’
তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ বুয়েটের শেরেবাংলা হলের ২০১১ নম্বর রুমে নিহত হয়েছেন। তিনি একই হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।