হোম > সারা দেশ > সিলেট

স্ত্রীর সন্তান প্রসবের ব্যয় যোগাতে কিডনি বিক্রি করতে চেয়েছিলেন অসহায় দিনমজুর

জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জে অস্ত্রোপচারের মাধ্যেম স্ত্রীর সন্তান প্রসবের ব্যয় যোগাতে ব্যর্থ হয়ে কিডনি বিক্রির বিজ্ঞাপন দিতে চেয়েছিলেন এক দিনমজুর। এজন্য তিনি এক সাংবাদিককে ফোন দিয়েছিলেন। তাঁর উদ্যোগে পুলিশ সম্পৃক্ত হয়ে বিলের বেশিরভাগ মওকুফের ব্যবস্থা করে। জগন্নাথপুরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে গত মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও ক্লিনিক সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের আছিমপুর গ্রামের দিনমজুর শামছুল হক সিজার অপারেশনের জন্য তাঁর স্ত্রীকে উপজেলার সদরের নগর মাতৃসদন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করেন। ভর্তির সময় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ শামছুল হককে জানায় সব মিলিয়ে প্রায় ২০ হাজার টাকার মতো বিল আসবে। তিনি তাতে রাজি হয়ে স্ত্রীকে ভর্তি করেন। পরে ওই রাতে সিজার অপারেশনের মাধ্যমে এই দম্পতির ছেলে সন্তানের জন্ম হয়।

এদিকে, দুদিনে ক্লিনিকের বিল আসে ১৬ হাজার ৬৫০ টাকা। এরপর থেকেই শামছুল হক ক্লিনিকের বিলের জন্য আত্মীয়-স্বজনদের কাছে টাকা চাইতে শুরু করেন। শেষমেশ কোনো উপায় না পেয়ে সিদ্ধান্ত নেন নিজের কিডনি বিক্রির বিজ্ঞাপন দেবেন।

পত্রিকায় কিডনি বিক্রির বিজ্ঞাপনের জন্য তিনি আজকের পত্রিকার এ প্রতিনিধি সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিডনি বিক্রির কারণ জানতে চাইলে, তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন কিডনি বিক্রি করে ক্লিনিকের বিল পরিশোধ করবেন।

শামছুল হক বলেন, ‘অভাবের সংসার। দিন আনি, দিন খাই। স্ত্রীর শারীরিক অবস্থা চিন্তা করে বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করি। ভর্তির সময় তারা বলেছিলেন বিল প্রায় ২০ হাজার টাকা মতো আসবে। তখন মনে করেছিলাম টাকা জোগাড় করতে পারব। কিন্তু নিজের স্বজনসহ অনেকের কাছে হাত পেতেও কোনো সাহায্য পাইনি। কোনো উপায় না পেয়ে সিদ্ধান্ত নেন পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে নিজের কিডনি বিক্রি করবেন।’

শামছুল হক আরও বলেন, ‘কিডনি বিক্রির কথা শোনার পর তিনি (সাংবাদিক) তখন আমাকে থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে নিয়ে যান। পরে ওসি স্যার ক্লিনিক এসে বিল মওকুফের জন্য সুপারিশ করেন। আমার পরিবার ওসি সাহেবের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ।’

নগর মাতৃসদন ক্লিনিকের এমআইএস অ্যান্ড কোয়ালিটি এসোরেন্স কর্মকর্তা রাকিবুর রহমান বলেন, ‘ভর্তির সময় ওই ব্যক্তিকে অপারেশন বিল ১২ হাজার টাকা জানানো হয়। উনাকে আমরা বলেছিলাম সব মিলিয়ে বিল ২০ হাজার টাকার নিচে থাকবে। সেই অনুযায়ী বিল ১৬ হাজার ৬৫০ টাকা আসে। দুদিন পর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসে কিডনি বিক্রির বিষয়টি জানালে মানবিক দিক বিবেচনা করে ৪ হাজার টাকা জমা নিয়ে বাকি টাকা মওকুফ করে দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার তাঁদের ছাড়পত্র দেওয়া হয়।’

জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আপনার (আজকের পত্রিকার প্রতিনিধি) মাধ্যমে জানতে পেরে ক্লিনিকে গিয়ে খোঁজখবর নিয়েছি। এরপর কর্তৃপক্ষে শামছুল হকের আর্থিক অবস্থার কথা জানাই। এতে তারা অপারেশনে ব্যবহৃত জিনিসপত্র ও ওষুধের দাম দাবি করেন। পরে ওই দিনমজুরের কাছে থাকা ৪ হাজার টাকা জমা দিয়ে বাকি টাকা মওকুফ করানো হয়।’

জৈন্তাপুরে সাড়ে ১৬ হাজার ঘনফুট বালু জব্দ, নিলামে বিক্রি

মৌলভীবাজারে আ.লীগের ৯ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার

সিলেট সীমান্তে খাসিয়াদের গুলিতে ২ জন নিহত

সিলেটে প্রথম আলো অফিসের সাইনবোর্ড, গ্লাস ভাঙচুর

কোন্দলই বিএনপির বড় সংকট

সিলেটে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত তিন

হত্যা মামলায় বিয়ানীবাজার পৌর আ. লীগ সভাপতি গ্রেপ্তার

সিলেটে যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না বুধবার

চবি উপ-উপাচার্যের পদে থাকার নৈতিক অধিকার নেই: নাছির উদ্দীন

শাকসু নির্বাচন: ছাত্রদলের ২২ সদস্যের প্যানেল ঘোষণা, নারী প্রার্থী একজন ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পাদক পদ ফাঁকা