নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
বকেয়া বেতন পরিশোধ না করায় অচল অবস্থা কাটছে না রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ন্যাশনাল টি কোম্পানির অধীন সিলেট বিভাগের ১২টি চা বাগানের। বকেয়া বেতন পরিশোধসহ নানা দাবিতে প্রায় দেড় মাস ধরে বাগানগুলোর শ্রমিকেরা কর্মবিরতি পালন করছেন। এতে প্রায় ২০ কোটি টাকার চা-পাতা নষ্ট হয়েছে। অন্যান্য সবকিছু মিলিয়ে অপূরণীয় ক্ষতি হয় রাষ্ট্রীয় এই কোম্পানির।
এমতাবস্থায় গত রোববার শ্রীমঙ্গলে শ্রমিক-মালিক পক্ষের বৈঠকে বকেয়া বেতন পরিশোধসহ দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় বুধবার বকেয়া পরিশোধ করলে বৃহস্পতিবার থেকেই কাজে ফিরবেন শ্রমিকেরা। টাকা না পেলে কাজে যাবেন না।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের সিলেট ভ্যালির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রাজু গোয়ালা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বুধবার দুই সপ্তাহের বকেয়া বেতন পরিশোধের পর বৃহস্পতিবার থেকে সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জের এনটিসি বাগানের শ্রমিকেরা কাজ শুরু করার কথা ছিল। বৃহস্পতিবার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নেটওর্য়াক সংক্রান্ত সমস্যায় টাকা ট্রান্সফার করতে পারেনি। রোববার দিয়ে দিবে। তিন মাস ধরে বেতন বকেয়া থাকায় কষ্টে দিন কাটাচ্ছে শ্রমিকেরা। রোববার টাকা দিলে সোমবার কাজে ফিরবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সিলেটের লাক্কাতুরা, কেওয়াছড়া ও দলদলি এই তিনটি বাগানসহ এনটিসির অধীন বাকি বাগান মিলে প্রায় ১৫ হাজার শ্রমিক রয়েছেন। আর এই শ্রমিকদের উপর নির্ভরশীল অন্তত ৫০ হাজার মানুষ। বেতন বন্ধ থাকায় সবাই কষ্টে পড়েছেন।’
জানতে চাইলে ন্যাশনাল টি কোম্পানির (এনটিসি) মহাব্যবস্থাপক এমদাদুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বুধবার শ্রমিকদের দুই সপ্তাহের বকেয়া বেতন পরিশোধ করার কথা ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আমরা সেটা পারিনি। আশা করি, রোববার দিতে পারবো। বাকি সপ্তাহের বেতন পর্যায়ক্রমে দেওয়া হবে। রোববারে বকেয়া পরিশোধ করতে পারলে সোমবার থেকে শ্রমিকেরা ফের কাজে ফিরছেন।’