জৈন্তাপুর (সিলেট) প্রতিনিধি
সিলেটের জৈন্তাপুরে মুক্তারুল হক হত্যা মামলায় ইফতেখার রশিদ মাহি (২২) নামের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি। গত সোমবার ঢাকার মালিবাগ এলাকার একটি কারখানা থেকে ইফতেখার রশিদ মাহিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিলেটের পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ খালেদ-উজ-জামান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গ্রেপ্তারের কথা জানানো হয়েছে।
পিবিআই সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ৪ ডিসেম্বর সকাল ৭টার দিকে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের তেলীজুরী গ্রামের রহমত আলীর ছেলে মুক্তারুল হকের (৩৬) মরদেহ স্থানীয় একটি খেত থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা রহমত আলী বাদী হয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানায় ছয়জনের নামসহ অজ্ঞাত চার-পাঁচজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
থানা-পুলিশ তদন্ত করার পর মামলাটি পিবিআই সিলেটে হস্তান্তর করা হয়। পরে পিবিআইয়ের প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের তত্ত্বাবধানে পিবিআই সিলেট জেলা ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার মুহাম্মদ খালেদ-উজ-জামানের নেতৃত্বে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (উপপরিদর্শক) এসআই ঝলক মোহন্ত তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পিবিআই জানায়, গত সোমবার পিবিআই ঢাকা মহানগরের মালিবাগ চৌধুরীপাড়ার একটি গার্মেন্টস কারখানায় অভিযান চালিয়ে মুক্তারুল হক হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত আসামি দরবস্ত তেলীজুরী গ্রামের ইফতেখার রশিদ মাহিকে গ্রেপ্তার করে সিলেটে নিয়ে আসে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মুক্তারুল হত্যার ঘটনা স্বীকার করে।
পুলিশ সুপার মুহাম্মদ খালেদ-উজ-জামান বলেন, ‘গত সোমবার গ্রেপ্তার ইফতেখার রশীদ মাহিকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর হোসেনের আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে তিনি হত্যাকাণ্ডের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। আদালত মাহিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’