বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ১৯ শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৩৪ শিক্ষার্থীকে আটক করেছে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর থানা-পুলিশ।
গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের দুধের আউটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পাটলাই নদীতে নৌকা থেকে তাঁদের আটক করা হয়। আজ সোমবার বিকেলে তাঁদের সুনামগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়।
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সাঈদ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ঘটানো, জনসাধারণের জানমালের ক্ষতি সাধনের উদ্দেশ্যে গোপন ষড়যন্ত্র এবং ধর্মীয় জিহাদ সৃষ্টির মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার অপরাধে তাঁদের আটক করে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে তাহিরপুর থানার উপপরিদর্শক রাশেদুল কবির বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯ (সংশোধনী ২০১৩)-এর বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিদের মধ্যে বুয়েটের ১৯ শিক্ষার্থী হলেন মেটেরিয়ালস অ্যান্ড মেটালার্জিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের আফিফ আনোয়ার, মেকানিক্যাল বিভাগ চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী বখতিয়ার নাফিস, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রথম বর্ষের মো. সাইখ সাদিক, নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রথম বর্ষের ইসমাইল ইবনে আজাদ, সব্বির আহম্মেদ, নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের তাজিমুর রাফি, বস্তু ও ধাতব কৌশল বিভাগে তৃতীয় বর্ষের মো. সাদ আদনান অপি, বস্তু ও ধাতব কৌশল বিভাগে প্রথম বর্ষের মো. শামীম আল রাজি, যন্ত্র কৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মো. আব্দুলাহ আল মুকিত, মাহমুদুর হাসান, যন্ত্র কৌশল বিভাগের প্রথম বর্ষের মো. জায়িম সরকার, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রথম বর্ষের হাইছাম বিন মাহবুব, আইপিই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের খালিদ আম্মার, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মো. ফাহাদুল ইসলাম, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের তানভির আরাফাত ফাহিম, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের এ টি এম আবরার মুহতাদী, মো. ফয়সাল হাবিব, আব্দুল বারি, বস্তু ও ধাতব কৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের আনোয়ারুল্লাহ সিদ্দিকী।
সুনামগঞ্জ আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট তৈয়বুর রহমান বাবুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এজাহার ও এআইআর এখনো হাতে পাইনি। এজাহার হাতে পেলে বিষয়টি দেখে আমরা আদালতের কাছে জামিন চাইব।’