নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
সন্তানদের বন্দুকের মুখে রেখে আমরা সুখনিদ্রায় যেতে পারি না- আমরা দাঁড়ালাম শিক্ষার্থীদের পাশে। শিক্ষার্থীদের সব যৌক্তিক দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে আজ শনিবার দুপুরে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত নাগরিক সমাবেশ থেকে একথা জানান অভিভাবকেরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আহ্বান করা এই অভিভাবক সমাবেশে শতাধিক অভিভাবক ও নাগরিক অংশগ্রহণ করেন।
সিলেটের অন্যতম নাগরিক প্ল্যাটফর্ম সংক্ষুব্ধ নাগরিক আন্দোলনের পক্ষ থেকে আয়োজন করা এই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সমন্বয়ক আব্দুল করিম কিম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুদীপ্ত অর্জু্ন। সমাবেশের সঞ্চালনা করেন যুব সংগঠক মতিউর রাফু।
আব্দুল করিম কিম বলেন, কোটা সংস্কারের একটি নির্দোষ দাবিকে অসহনীয় পরিস্থিতিতে নিয়ে যাওয়ার দায় সরকারের। আরিচা রোডের ট্রাক ড্রাইভারের মত বেপরোয়া রাষ্ট্র পরিচালনার খেসারত আজ দেশবাসীকে দিতে হচ্ছে। দেশ আজ বিপন্ন। আমাদের সন্তানেরা বন্দুকের মুখে বুক পেতে দাঁড়াচ্ছে। যারা বন্দুক নিয়ে তাদের রুখে দিতে চাইছে ওরাও আমাদের ভাই, আমাদের সন্তান। এই অসহ্য পরিস্থিতি মেনে নিতে পারছি না। রাষ্ট্রের সংস্কার প্রয়োজন।
স্বাগত বক্তব্যে সুদীপ্ত অর্জুন বলেন, চলমান ছাত্র আন্দোলনে সুস্পষ্ট অভিযোগ ছাড়া অপ্রাপ্ত বয়স্ক ও মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের আটক করা হয়েছে। তাদেরকে অবিলম্বে ছেড়ে দিতে হবে। প্রশাসনকে মানুষের আবেগ ও সংবেদনশীলতা বুঝতে হবে। একজন সাধারণ ছাত্র ক্ষতিগ্রস্ত হলে পুরো সমাজের মননে এর প্রতিক্রিয়া হয়। আর দুর্বৃত্তরা এর সুযোগ নেয়।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন প্রবীন রাজনীতিবিদ আনসার খান, সাংস্কৃতিক সংগঠক মনির হেলাল, রাজনৈতিক সংগঠক উজ্জ্বল রায়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক আশরাফ উদ্দিন, পলিটিক্যাল স্টাডিজের অধ্যাপক ড দিলারা রহমান, সাবেক ছাত্রনেতা মাহবুবুর রহমান ওয়েছ ও রেজাউল কিবরিয়া, রোটারিয়ান সামসুল হক দিপু, অভিভাবকদের পক্ষে ওয়াসিকুজ্জামান চৌধুরী অনি, এডভোকেট জাকিয়া জালালসহ অনেকে।