নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
মহিলা ও শিশু বিষয়ক এবং সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, ‘নারীর প্রতি সহিংসতা একটি সামাজিক ব্যাধি। পরিসংখ্যান মতে সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও এটা ক্রমশ বাড়ছে। যখন কেউ নারী নির্যাতন করে এবং যদি কেউ দিনের পর দিন তা সহ্য করতে থাকে-দুজনের কেউই মানুষ থাকে না।’
আজ শনিবার সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১০ হালনাগাদকরণ বিষয়ে এক পরামর্শ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুকে উদ্ধার প্রসঙ্গে শারমীন এস মুরশিদ বলেন, ‘নির্যাতনের যে ঘটনাগুলো ঘটে তা বেশির ভাগই সঠিকভাবে চিহ্নিত করা যায় না। প্রচলিত ব্যবস্থার বাইরে গিয়ে সকল অংশীজনের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের মাধ্যমে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে সমাধান খুঁজে বের করতে হবে।’
ছেলেদের মধ্যে সংবেদনশীল (অর্থে) সুপুরুষ আছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পারিবারিক সহিংসতা সম্পর্কিত সেমিনার, কর্মশালাসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতায় নারীদের সঙ্গে পুরুষদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। বিদ্যমান সমাজ কাঠামোতে একটি ছেলে পরিবার থেকেই শিক্ষা নেয়, নারীকে নির্যাতন করলে বিশেষ কিছু হয় না। এ মানসিকতার পরিবর্তন করতে হলে পারিবারিক শিক্ষার পাশাপাশি রাষ্ট্রেরও ভূমিকা রাখতে হবে।’
পারিবারিক সহিংসতার ঘটনা ঘটার ২৪ ঘণ্টার মাধ্যমে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে জানানোর নির্দেশ দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘যদি নির্যাতনের শিকার নারী বা শিশুকে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে দেওয়া যায় তাতেই এ মন্ত্রণালয়ের সার্থকতা।’
বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন–মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) কেয়া খান। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তাসলিমা নাসরিন।