হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে মোস্তাক হত্যা মামলায় হবিগঞ্জ পৌরসভার সদ্য সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান সেলিমকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার দুপুরে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এর বিচারক মো. ফখরুল ইসলাম তাঁকে কারাগারে পাঠায়।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাতে র্যাব-২ ও র্যাব-৯ এর যৌথ অভিযানে ঢাকার ধানমন্ডি এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাতেই তাঁকে হবিগঞ্জ সদর থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
নিহত মোস্তাক (২৬) সিলেট জেলার টুকের বাজার এলাকার বাসিন্দা মৃত আব্দুল কাদিরের ছেলে। তিনি হবিগঞ্জ পিডিবিতে অস্থায়ী কর্মচারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, হবিগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ২ আগস্ট শিক্ষার্থীদের মিছিলে হামলা চালায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। তখন ছাত্র-জনতা প্রতিরোধ গড়ে তুললে সারা শহরে ছড়িয়ে পড়ে সংর্ঘষ। ছাত্র-জনতার প্রতিরোধের মুখে একপর্যায়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা গুলি ছুড়েন। এ সময় তাদের গুলিতে মোস্তাক আহমেদ নিহত হন। পরদিন ৩ আগস্ট তার ভাই এসে মরদেহ বুঝে নেন।
অভিযোগে আরও জানা যায়, আতাউর রহমান সেলিমের হাতে থাকা অবৈধ অস্ত্র দিয়ে গুলি করলে মোশাহিদ নামের একজনের মাথার পেছনে লাগলে গুরুতর আহত হয়।
এ ঘটনায় গত ২১ আগষ্ট হবিগঞ্জ পৌর এলাকার উমেদনগর এলাকার বাসিন্দা পৌর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক এসএম মামুন বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় হবিগঞ্জ ৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. আবু জাহিরসহ ১১১ জনের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হুমায়ন কবির বলেন, মোস্তাক হত্যা মামলার অন্যতম আসামি আতাউর রহমান সেলিমকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আদালতে তাঁকে ১০ দিনের রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হয়েছে।