নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
সিলেটের ওসমানীনগরে সেপটিক ট্যাংক থেকে নিখোঁজ এক ব্যক্তির বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে উপজেলার তাজপুর ইউনিয়নের কাদিপুর গ্রামের আবরুছ মিয়ার বাড়ির পরিত্যক্ত সেফটিক ট্যাংক থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে তদন্তের স্বার্থে তাঁদের নাম-পরিচয় জানায়নি।
স্বজনদের দাবি, গত রোববার স্বর্ণ কিনতে বের হয়েছিলেন তিনি। এরপর আর ফিরে আসেননি।
নিহত আব্দুল জলিল (৪৬) উপজেলার উছমানপুর ইউনিয়নরে পাঁচপাড়া গ্রামের মৃত জাহির উল্যার ছেলে। তাঁর পাঁচ সন্তান রয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, স্বর্ণ ক্রয় করতে গত রোববার বিকেলে বাড়ি থেকে বের হন আব্দুল জলিল। সন্ধ্যার পর থেকে তাঁর কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে স্বজনেরা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আজ বুধবার দুপুরে আব্দুল জলিলের বস্তাবন্দী অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে।
নিহতের স্ত্রী মাহমুদা বেগম জানান, চার ভরি স্বর্ণ ক্রয় করতে ভাড়েরা গ্রামের কামরান নামের এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে গত শুক্রবার দেড় লাখ টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন তাঁর স্বামী। পরে রোববার বাড়ি এসে আরও দেড় লাখ টাকা নিয়ে গেলে পরে আর তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
তাজপুর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান কবির আহমদ বলেন, ‘কাদিপুর গ্রামের আবরুছ মিয়ার বাড়ির পরিত্যক্ত সেপটিক ট্যাংক থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় যে বা যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।’
ওসমানীনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) প্রজিত কুমার দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই ঘটনায় চারজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। স্বর্ণ কিনার বিষয়টি পুলিশের কানেও এসেছে। আমরা সার্বিক বিষয় নিয়ে তদন্ত করছি। আশা করি শিগগিরই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন হবে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন।’