মৌলভীবাজারের জুড়ীতে সেপটিক ট্যাংকে ভেতরে কাজ করার সময় বিষাক্ত গ্যাসে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার উপজেলার পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের স্টেশন রোডে নির্মাণাধীন একটি ভবনের সেপটিক ট্যাংকে কাজ করতে নেমে তাদের মৃত্যু হয়।
মৃত শ্রমিকেরা হলেন–উপজেলার পূর্ব জুড়ী ইউনিয়নের বড় ধামাই গ্রামের আবদুল খালিকের ছেলে মো. শাহীন মিয়া (২২) ও জায়ফরনগর ইউনিয়নের মনতৈল গ্রামের মোক্তার আলীর ছেলে কামরুল ইসলাম (২৫)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কুলাউড়া ফায়ার সার্ভিসের লিডার শংকর রায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খবর পেয়ে আমাদের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করে।’ সেপটিক ট্যাংকে থাকা বিষাক্ত গ্যাসের কারণে তাদের মৃত্যু হতে পারে বলে জানান তিনি।
জানা যায়, উপজেলার পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের স্টেশন রোডে জনৈক ফয়জুল ইসলামের নির্মাণাধীন ভবনের সেপটিক ট্যাংকের সাটারিং খোলার জন্য একজন শ্রমিক ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় তিনি বিষাক্ত গ্যাসের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে উদ্ধার করতে আরেকজন নামলে দুজনেই বিষাক্ত গ্যাসের কারণে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। খবর পেয়ে কুলাউড়া ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আনফর আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্মাণাধীন ভবনের সেপটিক ট্যাংকে কাজ করার সময় বিষাক্ত গ্যাসে তাদের মৃত্যু হয়েছে। পরে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে এসে তাদের উদ্ধার করে।’
এ বিষয়ে জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোশাররাফ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।’