নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে জামায়াতের মিছিলে হামলা ও দোকানপাট লুটপাটের অভিযোগে আওয়ামী লীগের ২৬ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার নবীগঞ্জ থানায় জামায়াতের সদর ইউনিয়ন শাখার সভাপতি শাহ মো. আলাউদ্দিন বাদী হয়ে ঘটনার ১০ বছর পর মামলাটি করেন।
২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর জামায়াতের সাবেক নায়েবে আমির প্রয়াত মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই রায়ের প্রতিবাদে নবীগঞ্জে জামায়াতে ইসলামী ও তৌহিদি জনতা শান্তিপূর্ণ মিছিল বের করে। সেই মিছিলে হামলা ও দোকানপাট লুটপাটের ঘটনায় এই মামলা করা হয়। মামলায় নবীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও করগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নির্মলেন্দু দাশ রানাকে (৪৫) প্রধান আসামি করা হয়েছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরী (৪৭), জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর চৌধুরী (৪৯), উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ইমদাদুর রহমান মুকুল (৫৩), নবীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ওহি দেওয়ান চৌধুরী (৪০), পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গৌতম রায় (৪৮), উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক কাজী ওবায়দুল কাদের হেলাল (৪৮), প্রমথ চক্রবর্তী বেণু (৫০), জগৎ সিং (৩৮), নবীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজাহিদ আহমদ (৫৫), অসীম শীল (৩০), মুজিবুর রহমান কাজল (৪৮), মানিক দাশ (৩৫), নিরাপদ দাশ (৩৮), জয়নাল মিয়া (৫৫), বাবলু আহমেদ (৩৩), বেলাল তালুকদার (৩২), আব্দাল করিম (৪৭), সন্তোষ দাশ (৪৯), খোকন মিয়া চৌধুরী (৪৬), দিপ্রজিত দাশ ঝনা (৪৫), অনন্ত দাশ (৩৭), দুলাল চৌধুরী (৪৩), তুহিন চৌধুরী (৩৭), পারভেজ চৌধুরী ফয়েজ (৩০), বিজয় দাশ (৪৩)। তা ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৫০-৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দোষী সাব্যস্ত করে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ওই রায়ের প্রতিবাদে নবীগঞ্জে জামায়াত ও তৌহিদি জনতা শান্তিপূর্ণ মিছিল বের করে। মিছিল শুরু হওয়ার পর আসামি আলমগীর চৌধুরীর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা পিস্তল, শটগানসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ মিছিলে হামলা চালায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুক আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, পুলিশের এসআই মো. সুমন মিয়াকে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।