কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
মৌলভীবাজারে বন্যার পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে সংকটে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির। টিউবওয়েল ও টয়লেট পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। রয়েছে স্বাস্থ্যঝুঁকির শঙ্কা।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, জুড়ি, বড়লেখা, কুলাউড়া ও সদর উপজেলায় প্লাবিত হওয়ায় বন্যায় প্লাবিত হয়। পানিবন্দী হয়ে পড়ে তিন লাখ মানুষ। বন্যায় জেলায় অসংখ্য কাঁচাঘর বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। বন্যার পানি কমার সঙ্গে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট, টিউবওয়েল থেকে বের হচ্ছে ময়লা পানি। ব্যবহার করা যাচ্ছে না টয়লেট, পানিতে তলিয়ে ভরপুর হয়ে গেছে। ফলে অনেকেই বাধ্য হয়ে খোলা জায়গায় মল-মূত্র ত্যাগ করছে।
মৌলভীবাজার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় চলমান বন্যায় ১ হাজার ২০০টি টিউবওয়েল ও ৩ হাজার টয়লেট বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। জেলার বন্যাকবলিত এলাকায় ১ লাখ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও ১০ লিটার পরিমাপের ৯০০টি জারিকেন বিতরণ করা হয়েছে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত টিউবওয়েল ও টয়লেটের সংখ্যা অনেক বেশি হবে বলে বন্যাকবলিত এলাকার মানুষ জানিয়েছে।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কমলগঞ্জ উপজেলার সুফিয়ান মিয়া বলেন, ‘বন্যার পানিতে আমার ঘরের অর্ধেক ডুবে যায় আমরা আশ্রয়কেন্দ্রে ছিলাম। গতকাল বাড়িতে এসেছি। বন্যার পানি টিউবওয়েল ঢোকায় পানি খাওয়ার উপযোগী নয়। একই সঙ্গে টয়লেট পানিতে ডুবে আছে যা আর ব্যবহার করা যাবে না।’
মৌলভীবাজার জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. খালেদুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা জেলার প্রতিটি বন্যাকবলিত এলাকায় পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও ১০ লিটার পানির জারিকেন বিতরণ করছি। জেলায় কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনো পুরোপুরি জানা যায়নি।’