জাদু-টোনা করে বাবাকে হত্যার সন্দেহ থেকে প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে ওঠেন দীপক ভৌমিক। সেই সন্দেহ থেকেই চা–শ্রমিক শনিচরণ সাঁওতাল ওরফে অজিতকে (৪৫) গলা কেটে হত্যা করেন তিনি।
হত্যাকাণ্ডের ২০ দিন পর গতকাল শনিবার (২ নভেম্বর) পুলিশ দীপক ভৌমিককে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে এমনটি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে আজ রোববার (৩ নভেম্বর) চুনারুঘাট থানায় সংবাদ সম্মেলন করেন চুনারুঘাট-মাধবপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আজিজুর রহমান সরকার।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, চা–শ্রমিক শনিচরণ সাঁওতাল ওরফে অজিত (৪৫) ঝাঁড়ফুক ও কবিরাজিও করতেন। কিছুদিন পূর্বে দীপকের বাবা তাঁর কাছে কবিরাজি চিকিৎসার জন্য যান। তবে চিকিৎসার পর রোগীর মৃত্যু হয়। এতে দীপকের মনে সন্দেহের উদ্রেক হয় যে, অজিত তাঁর বাবাকে জাদু-টোনা করে মেরে ফেলেছে। এ থেকে সে প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে ওঠে।
প্রতিশোধ নিতে গত ১২ অক্টোবর রাতে চা-বাগান এলাকার ফুলছড়ি টিলায় দীপক ভৌমিক অজিতকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে। পরে মরদেহ পাশের ধানি জমিতে ফেলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই অনিল সাঁওতাল বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।
মামলার পর তথ্যপ্রযুক্তি ও র্যাবের সহযোগিতায় গতকাল শনিবার রাতে মাধবপুর থেকে দীপককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।