ভারত থেকে দেশে ফেরার পথে সিলেটের গোয়াইনঘাট তামাবিল সীমান্তে জুনায়েদ হোসাইন (৪৫) নামে বাংলাদেশি এক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার উপজেলার তামাবিল-ডাউকি সীমান্ত দিয়ে দেশে ফেরার পথে তিনি মারা যান।
জুনায়েদ হোসাইন ঢাকা শের-ই-বাংলা নগরের শ্যামলী এলাকার মৃত মো ইকবাল হোসেনের ছেলে।
তামাবিল ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ মো. রুনু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনার পর ডাউকি ইমিগ্রেশন পুলিশ বিষয়টি আমাদের অবগত করে। পরে ভারতের পুলিশ আইনগত প্রক্রিয়া শেষ করে রাত সাড়ে ১২টার দিকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ জুনায়েদ হোসেনের লাশ তামাবিল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।’
পুলিশ জানায়, জুনায়েদ হোসাইন গত ১৯ জুন তার স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে তামাবিল ইমিগ্রেশন হয়ে ভারত গিয়েছিলেন। সেখানে তারাসহ ২৩ জনের একটি দল যায়।
ভ্রমণ শেষে শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ভারতের ডাউকিতে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) চেকপোস্টে আসার পর তিনি জানান, তার সন্তানের পাসপোর্টে ভারতের ডাউকি ইমিগ্রেশনের সিল দেওয়া হয় নাই। পাসপোর্টে সিল আনতে পুনরায় ইমিগ্রেশনে যাওয়ার পথে জুনায়েদ হোসেন বুকের ব্যথা অনুভব করেন।
এ সময় তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে ভারতের ডাউকি ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জুনায়েদ হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন। শনিবার রাতে ভারতীয় পুলিশ লাশ হস্তান্তর করে। এ সময় তামাবিল সীমান্ত ফাঁড়ির বিজিবি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরে পুলিশ লাশটি জুনায়েদের স্ত্রী ও বোনের কাছে বুঝিয়ে দেয়।