হোম > সারা দেশ > সিলেট

বাংলা একাডেমি পুরস্কারের মনোনীত সুমনকুমার দাশকে বিশিষ্টজনের অভিনন্দন

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২৩’ এর জন্য মনোনীত হয়েছেন সুনামগঞ্জের কৃতি সন্তান লোকসংস্কৃতি গবেষক, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক সুমনকুমার দাশ। আগামী ফেব্রুয়ারিতে অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে পুরস্কার তুলে দেবেন। 

গত বুধবার বাংলা একাডেমি পুরস্কারের জন্য মনোনীত ব্যক্তিদের নাম ঘোষণা পর সিলেটে অর্ধশতাধিক সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, জনপ্রতিনিধিরা বিবৃতি দিয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এবার সাহিত্যের বিভিন্ন বিভাগে ১৬ জনকে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। এর মধ্যে ফোকলোর বিভাগে এ পুরস্কার পাচ্ছেন সুমনকুমার দাশ। 

বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, ‘বাংলার সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক, ঐতিহ্য অন্বেষণ এবং সংরক্ষণের জন্য সুমনকুমার দাশের নিষ্ঠা সত্যিই প্রশংসনীয়। তাঁর এই অর্জনে আমরা অত্যন্ত গর্বিত। গবেষণাকর্ম ও এর প্রাপ্য স্বীকৃতি তিনি দাবি রাখেন। সিলেট অঞ্চলের লোকসংস্কৃতির ওপর তাঁর কর্মপ্রয়াস ও সমৃদ্ধ গবেষণা আমাদের অনুপ্রেরণাদায়ক।’ 

বিজ্ঞপ্তিতে তাঁরা আরও বলেন, ‘সুমনকুমার দাশসহ অন্যান্য যারা এই পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তাঁরাও তাদের কর্মযোগ্যতায় এ সম্মান অর্জন করেছেন। বাংলাদেশের গৌরবময় অসাধারণ কর্মপ্রচেষ্টা শুধু একাডেমিক এবং সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলেই অবদান রাখে না বরং গ্রামীণ সম্প্রদায়ের সাংস্কৃতিক জীবনকে নাগরিক সমাজের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তাঁরা।’ 

রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের মধ্যে বিবৃতি প্রদানকারী—সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনের সংসদ সদস্য শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ। 

শিক্ষাবিদদের মধ্যে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা, লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য কাজী আজিজুল মাওলা, মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য মোহাম্মদ জহিরুল হক, নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের উপাচার্য মো. ইলিয়াস উদ্দীন বিশ্বাস, সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য মো. আশরাফুল আলম, লিডিং ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. সৈয়দ রাগীব আলী, ট্রেজারার শ্রীযুক্ত বনমালী ভৌমিক, সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সভাপতি রজত কান্তি গুপ্ত ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সিলেটের সভাপতি শামসুল আলম সেলিম ছিলেন। এর বাইরে অন্তত অর্ধশতাধিক সংগঠন বিবৃতি পাঠিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছে। 

অনুভূতি জানতে চাইলে গবেষক সুমনকুমার দাশ বলেন, ‘এ সম্মাননা ওই সমস্ত সাধক, গায়ক, বাউল-ফকিরদের জন্য যাদের জীবনচর্চা, জীবনসংগ্রাম ও কাজ নিয়ে আমি লিখেছি। আমি মূলত এখানে একজন সূত্রধর ও সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করেছি।’ 

এ ছাড়া বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন। একই সঙ্গে প্রিয়জন, সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীসহ সকলের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। 

প্রাকৃতজনদের আচার-কৃষ্টি-সংস্কৃতি নিয়ে কাজ করে ইতিমধ্যেই ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছেন সুমনকুমার দাশ। ১৯৮২ সালের ১২ সেপ্টেম্বর তাঁর জন্ম সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা উপজেলার সুখলাইন গ্রামে। তবে এখন সিলেট নগরের বাসিন্দা। পেশায় সাংবাদিক। ২০০৪ সাল থেকে তিনি প্রথম আলোতে কাজ করছেন।

সিলেটে বিপুল পরিমাণে চোরাচালানের মালামাল জব্দ

সিলেটে ৪০০ বস্তা ভারতীয় চিনিসহ ট্রাকচালক আটক

দেশে অনুপ্রবেশের অভিযোগে ২ ভারতীয় নাগরিক আটক

‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে মামলা-বাণিজ্য

কমলগঞ্জে পাহাড়ি ছড়ায় যুবকের লাশ, শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন

পা পড়ে না চার সেতুতে

এক মাসেও মাটি পড়েনি ফসল রক্ষা বাঁধে

শতাধিক পণ্যে ও সেবায় ভ্যাট বাড়ানোর প্রতিবাদে সিলেটে মশাল মিছিল

হিংসা-বিদ্বেষ সৃষ্টিকারী কেউ যেন আমাদের মাথার ওপর না বসে: ফুলতলীর পীর

গোয়াহরি বিলে পলো বাওয়া উৎসবে মানুষের ঢল

সেকশন